ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সুসংবাদ প্রতিদিন

শসার দাম ও ফলনে খুশি কৃষক

শসার দাম ও ফলনে খুশি কৃষক

বগুড়ায় এবার শসার বাম্পার ফলন হয়েছে। দামও ভালো পাওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি। বাজারে প্রতি কেজি শসা ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম ভালো পাওয়ায় দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে শসা চাষ।

বগুড়ার মোকামতলায় মুরাদপুরে কৃষি বন্ধু ফার্মে মালচিং পদ্ধতিতে শসা চাষে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছে কৃষকরা। মাচায় মাচায় হলুদণ্ডসাদা ফুল কিংবা থরে থরে ঝুলছে সবুজ শসা। শসা চাষিরা জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার শসার আবাদ ভালো হয়েছে। রমজান ও ঈদ উপলক্ষে ভালো মূল্যও পেয়েছে তারা। মালচিং পদ্ধতিতে শসা চাষের ফলে প্রতি বিঘা জমিতে ৩০-৪০ শতাংশ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।

মালচিং হলো মাটির ওপর একটি সুরক্ষামূলক স্তর স্থাপন করার পদ্ধতি। এতে প্লাস্টিক শিট বা জৈব পদার্থ ব্যবহার করে মাটিকে ঢেকে রাখা হয়। এই পদ্ধতির মাধ্যমে মাটির আর্দ্রতা ধরে রাখা, আগাছা দমন এবং গাছের জন্য উপযুক্ত তাপমাত্রা নিশ্চিত করা যায়।

সরেজমিন দেখা গেছে- বাঁশের খুঁটি, নাইলন সুতা আর জিআই তার দিয়ে চারিদিকে মাঁচা তৈরি করা হয়েছে। ছোট বড় অসংখ্য শসা মাচায় ঝুলে আছে। যেদিকে তাকানো যায় শসা আর শসা। কৃষক জালাম বলেন, মালচিং ব্যবহারে আমরা আগাছা দমনের ঝামেলা থেকে মুক্তি পেয়েছি এবং উৎপাদনের খরচও কমেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও হয়েছে ভালো। এতে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। শসার বীজ রোপণের ৩০ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে গাছে ফল ধরা শুরু হয়। বিঘাপ্রতি খরচ হয় ১০ হাজার আর বিক্রি হয় ২০ হাজার টাকায়। লাভ বেশি হওয়ায় শসার চাষে আগ্রহী হচ্ছেন অনেকেই। আরেক শসা চাষি শহীদুল বলেন, এ মৌসুমে এক একর জমিতে শসার আবাদ করেছি, যাতে খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। ১ লাখ টাকার বেশি শসা বিক্রি করেছি। এবার আবহাওয়া ভালো। বাজারে শসার ভালো দামও পাওয়া যাচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, শসার বীজ বপনের পর পাঁচণ্ডছয় দিন পর চারা গজায়। চারা গজানোর ৩০-৩৫ দিন পর থেকেই শসা সংগ্রহ করা যায়। সর্বোচ্চ ৭৫ থেকে ১২০ দিন পর্যন্ত শসার গাছ থেকে কয়েকবার শসা সংগ্রহ করা হয়। শসার ফলন বিঘাপ্রতি ৪৫-৬০ মণ পর্যন্ত হয়ে থাকে। বর্তমানে প্রতি মণ শসা ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি বিঘা জমিতে উৎপাদন খরচ ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এ হিসাবে প্রতি বিঘা জমি থেকে শসা বিক্রি করে কৃষকের ৩০-৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ হয়।

শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল হান্নান জানান, কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে আমরা কৃষকদের মধ্যে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে থাকি। কৃষি উপসহকারীগণ নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করেন এবং ফসলের রোগবালাই ও এর প্রতিকার সম্পর্কে কৃষকদের অবহিত করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত