গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে (ইউএনএসসি) কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে পাকিস্তান। জাতিসংঘে পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত আসিম ইফতিখার আহমদ নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে বলেন, ইসরাইলের কর্মকাণ্ড জাতিসংঘ সনদ, আন্তর্জাতিক আইন এবং হামাসের সঙ্গে হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন। অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের পরিস্থিতি নিয়ে এই বৈঠক আহ্বান করে আলজেরিয়া, যার প্রতি সমর্থন ছিল পাকিস্তান, চীন, সোমালিয়া ও রাশিয়ার। রাষ্ট্রদূত আসিম ইফতিখার বলেন, ফিলিস্তিনের পরিস্থিতি মানবতার অবক্ষয়ের এক নির্মম প্রতিচ্ছবি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আর চুপ করে থাকতে পারে না। তিনি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে তার নিজের গৃহীত প্রস্তাবগুলোর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার আহ্বান জানান এবং বলেন, যুদ্ধবিরতির পর থেকে এরইমধ্যে ১,১০০-র বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
আসিম ইফতিখার আরও বলেন, আমরা এমন একটি সংগঠনের অংশ হতে পারি না, যারা শুধু দর্শক হয়ে থাকে। এই নৈতিক দেউলিয়াত্বের অংশ হওয়া আমরা প্রত্যাখ্যান করি। এদিকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শাফকাত আলী খান এক বিবৃতিতে বলেন, ইসরাইলের নির্বিচার সহিংসতায় হাজার হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে নারী, শিশু, চিকিৎসাকর্মী ও মানবিক সহায়তাকারীরাও রয়েছে। এটি ইসরাইলি দখলদারিত্বের আরেকটি নৃশংস অধ্যায়।
তিনি বলেন, ইসরাইল বর্তমানে তথাকথিত নিরাপত্তা করিডোর তৈরির নামে নতুন সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে, যার মধ্যে মরাগ করিডোর অবৈধভাবে দখল এবং আরও ফিলিস্তিনি ভূমি দখলের প্রচেষ্টাও রয়েছে। শাফকাত আলী খান বলেন, এসব পদক্ষেপ এবং ফিলিস্তিনিদের নিজ ভূখণ্ড থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করার স্পষ্ট উদ্দেশ্য আন্তর্জাতিক আইনে যুদ্ধাপরাধের শামিল। তিনি বলেন, ঈদুল ফিতরের সময় ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর পবিত্র আল-আকসা মসজিদ কমপ্লেক্সে সশস্ত্র প্রবেশ বিশেষ উদ্বেগের বিষয়। তিনি বলেন, এই উসকানিমূলক পদক্ষেপ কেবল ইসলাম ধর্মের অন্যতম পবিত্র স্থানকে লঙ্ঘন করে না, বরং এটি ইসরাইলের সম্প্রসারণবাদী নীতির প্রকাশ এবং আঞ্চলিক শান্তি বিনষ্টের আরও একটি প্রমাণ।