পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন শেষে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছে কর্মজীবী মানুষ। গতকাল শনিবার বাস, ট্রেন ও লঞ্চ টার্মিনালগুলোতে যাত্রীদের ভিড় দেখা যায়। সকাল থেকে লঞ্চযোগে আসা মানুষের চাপ বেড়েছে সদরঘাটে। ঈদের দীর্ঘ ৯ দিনের ছুটি শেষ হয়েছে গতকাল। আজ রোববার প্রথম কর্মদিবস। তাই অধিকাংশ মানুষ আজকের মধ্যে রাজধানীতে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে। গত শুক্রবারও প্রচুর মানুষ ঢাকায় ফিরেছেন। লঞ্চকর্মীরা বলছেন, গত দুই দিনের চেয়ে আজ ভিড় বেশি। ঢাকায় ফেরা প্রায় সব লঞ্চ যাত্রীদের রেখে আবার বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। ফলে টার্মিনালে মানুষের ভিড় ও কিছুটা দুর্ভোগ লক্ষ্য করা গেছে। টার্মিনাল থেকে নেমে দীর্ঘ পথ হেঁটে যানবাহনে উঠতে হয়েছে যাত্রীদের। অন্যদিকে এখনও ঢাকা ছাড়ছে কিছু মানুষ। রাজধানী এখনও বেশ ফাঁকা ও যানজটমুক্ত। বাংলাদেশ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে সকাল ৮টা পর্যন্ত ৭০-৭৫টি লঞ্চ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন গন্তব্য থেকে ঢাকায় এসেছে। ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ সামলাতে প্রায় সব লঞ্চ যাত্রী রেখে আবার বরিশালের দিকে চলে যাচ্ছে। বিআইডব্লিটিএ’র কর্মকর্তা আরিফ হোসেন বলেন, ভোর থেকে লঞ্চগুলো যাত্রীবোঝাই হয়ে ঢাকায় আসতে শুরু করে। লম্বা ছুটি ছিল, এ কারণে মানুষ ধাপে ধাপে ফিরছে। গত দুই দিনের তুলনায় আজ যাত্রীর চাপ কিছুটা বেড়েছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যে রাজধানীর অধিকাংশ মানুষ ফিরে আসবে। মেসার্স সুরভি-৭ লঞ্চের কর্মচারী সাইদুল বলেন, গত কয়েকদিনের তুলনায় একটু ভিড় বেশি। লঞ্চে ভিড় এখন তেমন দেখা যায় না। ঈদের আগের দুই দিন এবং ঈদের ছুটির শেষ দুই দিন এই ভিড় দেখা যাচ্ছে। বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রাজ মিয়া বলেন, ঈদের ছুটি কাটাতে গ্রামের বাড়ি বরিশালে গিয়েছিলাম। ঢাকায় ফেরা মানুষের বেশ চাপ আছে। তবে খুব বেশি বলা যাবে না। পদ্মা সেতু হওয়ার কারণে লঞ্চের যাত্রী কমেছে। তারপরও অতিরিক্ত চাপ থাকায় আমাদের সকাল সাড়ে ৫টায় টার্মিনালে রেখে লঞ্চটি পুনরায় বরিশালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। সদরঘাটে গাড়ি পেতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে আমাদের। বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানায়, ঢাকা-বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের ৪০টি নৌরুটে শতাধিক লঞ্চ যাতায়াত করছে। অতিরিক্ত চাহিদা বিবেচনায় কিছু বিশেষ লঞ্চ ছাড়া হচ্ছে। সাধারণ সময়ে লঞ্চগুলো বাই রোটেশন চলাচল করে।