ঢাকা শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে একদিনে এসেছে ৫৪৪৭ মেট্রিক টন চাল

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে একদিনে এসেছে ৫৪৪৭ মেট্রিক টন চাল

সাপ্তাহিক সরকারি ছুটি ও পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে টানা ৯ দিন বন্ধের পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মাঝে পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। প্রথম দিনেই বন্দর দিয়ে ১২৬টি ট্রাকে পাঁচ হাজার ৪৪৭ টন চাল এসেছে। সামনের দিনে চাল আমদানির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।

গতকাল বেলা ১১টা থেকে শুরু করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত বন্দর দিয়ে এসব চাল আসে। চাল আমদানির অনুমতির মেয়াদের সময়সীমা শেষের দিকে হওয়ায় সামনের দিনে আমদানি আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।

হিলি স্থলবন্দরের চাল আমদানিকারক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত থানা ৯ দিন আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ ছিল। সরকারের পক্ষ থেকে চাল আমদানির অনুমতির সময়সীমা নির্ধারণ ছিল ৬ এপ্রিল পর্যন্ত। সে হিসাব মোতাবেক আজ চাল আমদানির সময়সীমার শেষ দিন হওয়ায় প্রচুর পরিমাণ চাল আমদানি হয়েছে। তবে আজ খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে চাল আমদানির অনুমতির মেয়াদের সময়সীমা আরেক দফা বাড়িয়ে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত নির্ধারণ করে দিয়েছে। এতে বাকি যে ক’দিন রয়েছে এই ক’দিন চাল আমদানির পরিমাণ বাড়বে। তিনি বলেন, দেশের বাজারে আমদানি করা চালের চাহিদা অনেকটাই বেড়ে গেছে। দেশের বিভিন্ন মোকাম থেকে পাইকাররা বন্দরে আসছেন চাল কিনতে। বাড়তি চাহিদাকে ঘিরে চাল আমদানির পরিমাণ বাড়বে। বন্দরে আমদানি করা শম্পা কাটারি জাতের চাল ৬৫ থেকে ৬৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর স্বর্ণা জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫১ থেকে ৫২ টাকা কেজি দরে। হিলি স্থলবন্দর পরিচালনাকারী পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডের ম্যানেজার অশিত স্যানাল বলেন, দীর্ঘ ৯ দিন বন্ধের পর আজ ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশের মধ্য দিয়ে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দুই দেশের মাঝে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে বন্দর দিয়ে বিপুল পরিমাণ চাল আমদানি হয়েছে। আজ বন্দর দিয়ে সর্বমোট ১৫৭ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে ১২৬ ট্রাকে পাঁচ হাজার ৪৪৭ টন চাল আমদানি হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত