সিরাজগঞ্জে এবার কলা চাষে বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে। বাজারে দাম ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। খরচ কম লাভজনক এ চাষে ঝুঁকে পড়েছে কৃষকরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৩০০ হেক্টর জমিতে এ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যেই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি এ কলা চাষ করা হয়েছে। জেলার শয্যভান্ডার খ্যাত উল্লাপাড়া, তাড়াশ, রায়গঞ্জ উপজেলাসহ চরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে এ কলা চাষ বেশি হয়ে থাকে। এছাড়া জেলার অনান্য উপজেলাতেও এ কলা চাষ করে কৃষকরা। তবে এ জেলার গ্রামঞ্চলের অনেক স্থানে জমিতে কলা বাগান চাষের পাশাপাশি বাড়ির আঙ্গিনা, পুকুরপাড়, ভিটেবাড়ি ও রাস্তাঘাটে চাষ করা হয়। সারা বছরই কৃষকরা কলার চারা বগুড়াসহ বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করে উল্লেখিত স্থানগুলোতে চাষ করে থাকে। এ চাষে কলাগুলোর মধ্যে রয়েছে, সরপি, ভিম এটে, সাগর, চিনি চাম্পা, আনাজি, রঙ্গিন ও লম্বার ভিম এটে কলা। তবে এ অঞ্চলে সরপি, সাগর ও আনাজি কলাই বেশি চাষাবাদ হয়ে থাকে। বিশেষ সরপি কলাসহ প্রতি হালি এসব কলার দাম হাট-বাজারে গড়ে ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়।
স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, কলার দাম সব সময় ভালো থাকায় এ চাষে ঝুঁকে পড়েছে কৃষকরা। বিশেষ করে যমুনা নদীর চর ও তীরবর্তী এলাকায় এ চাষাবাদও হচ্ছে। খরচ কম ও লাভ বেশি হওয়ায় এ চাষ ক্রমশ বাড়ছে। সিরাাজগঞ্জ সদর উপজেলার রতনকান্দি গ্রামের আদর্শ কৃষক আব্দুর রাজ্জাক প্রতি বছরই এ কলার বাগান চাষ করে থাকেন। এতে তিনি লাভবানও হয়েছেন। এবারো তিনি যমুনার তীরে রতনকান্দি হাটের পূর্বে প্রায় ২৫ শতাংশ জমিতে এ কলা বাগান চাষ করেছেন। এ কলা বাগানের ভেতরে অনান্য ফসলও চাষ করেছেন।
আর কয়েক মাস পরেই এ নতুন বাগানে কলা উৎপাদন হবে এবং কম খরচে তিনি এ চাষে লাভবান বলে বলে আশা করছেন। এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক আঃ জাঃ মুঃ আহসান শহিদ সরকার আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, কম খরচে এ লাভজনক কলা চাষ প্রতিবছরই বাড়ছে। এ চাষে এবার জেলায় ২৮৭ হেক্টর জমি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে দাম ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটছে। এ চাষে কৃষকরা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি চাষ করছে। তবে সরপি, সাগর ও চিনি চাম্পা কলা চাষাবাদ বেশি হয়ে থাকে। এ চাষে কৃষকদের সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগ পরামর্শও দিচ্ছে। এ কলা চাষে বাম্পার ফলনের আশা করা যাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।