ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সুসংবাদ প্রতিদিন

পুকুরে ঝিনুকে মুক্তা চাষে স্বাবলম্বী

পুকুরে ঝিনুকে মুক্তা চাষে স্বাবলম্বী

ঝিনাইদহে পুকুরে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ হচ্ছে মুক্তা। এরই মধ্যে জেলার অনেক তরুণ মুক্তা চাষের সম্ভাবনা অনুমান করতে পেরেছেন। অনেকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মুক্তা চাষে আগ্রহীও হয়ে উঠছেন। সফলতা অর্জনের পাশাপাশি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে নিজের ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন অনেকে। জাপানফেরত ড. নজরুল ইসলাম স্বপ্ন দেখা তরুণদের মধ্যে একজন। তিনি ২০২১ সালে নিজ বাড়ি ঝিনাইদহের কোর্টচাদপুর উপজেলার শিবনগর গ্রামে ৩৩ শতক জমির পুকুরে মুক্তা চাষের একটি প্রকল্প হাতে নেন। পুকুরে কার্প জাতীয় মাছের মিশ্র চাষের পাশাপাশি পুকুরপাড়কে উৎপাদনমুখী করার জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুত করে সেখানে এযবাত মুক্তা চাষ করে আসছেন তিনি। পুকুরের পাড়কে ব্যবহার করে মুক্তা চাষে ব্যাপক সম্ভাবনার দৃষ্টান্ত স্থাপনের পাশাপাশি স্বাবলম্বী হয়েছেন রাইয়ান জৈব কৃষি প্রকল্পের পরিচালক ড. নজরুল ইসলাম। সেইসঙ্গে অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন তিনি। প্রতিটি ঝিনুকে মুক্তা চাষ করতে তার খরচ হয় মাত্র ৫০ টাকা। প্রতিটি ঝিনুকে দুইটি করে মুক্তা পাওয়া যায়। প্রতিটি মুক্তার বর্তমান বাজার মূল্য ২০০ থেকে ৫০০ টাকা। খরচ বাদে ঝিনুকপ্রতি সর্বনিম্ন আয় হয় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। এ সিজনে প্রায় ৫ হাজার ঝিনুকে মুক্তা চাষ হয়েছে। ফলে নিজে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিও সমৃদ্ধি হবে বলে আশা করেন তিনি। এ বিষয়ে রাইয়ান জৈব কৃষি প্রকল্পের পরিচালক ড. নজরুল ইসলাম বলেন, জাপানের আদলে কীভাবে অল্প জায়গায় অধিক ফসল ফলানো যায় সেটাই মূল লক্ষ্য তার। তিনি ১০ বিঘা জমি থেকে কীভাবে ৩০ বিঘার ফলন পাওয়া যায় সেটা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এবছরেও তিনি ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার মুক্তা বিক্রি করতে পারবেন বলেও আশা করেন। মুক্তা বিক্রি করার সঠিক জায়গা না থাকায় কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। মুক্তা চাষে ও বিক্রিতে সরকারি সহায়তা প্রয়োজন বলে তিনি দাবি করেন। মুক্তা চাষ, বিক্রি ও গবেষণাগার তৈরিতে সরকারি সহযোগিতার জন্য বারবার আবেদন করেও এখনও কোনো ফলাফল পায়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। যেহেতু ঝিনুকের জন্য বিখ্যাত হওয়ায় এ জেলার নামকরণ হয় ঝিনাইদহ, সেহেতু এখানে মুক্তা চাষ, গবেষণা ও বিক্রির জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকলে ঝিনুক থেকে মুক্তা চাষে আগ্রহী হবে অনেকে। কোর্টচাদপুরের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা দীন ইসলাম জানান, ড. নজরুল ইসলামের মুক্তা চাষ পদ্ধতি খুবই সম্ভাবনাময়। উপজেলা মৎস্য অফিস সবসময় তার পাশে আছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত