ঢাকা সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ১ বৈশাখ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

দেশে নতুন সংকট তৈরির চেষ্টা হচ্ছে

বললেন নূর
দেশে নতুন সংকট তৈরির চেষ্টা হচ্ছে

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর বলেছেন, নির্বাচন এবং সংস্কারকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেশে নতুন একটি সংকট তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। একটা গোষ্ঠী রাজনৈতিক ফায়দা নিয়ে দেশে অস্থিরতা তৈরি করতে চায়। এ বিষয়ে আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। গতকাল মানিকগঞ্জের সিংহের উপজেলায় সিংগাইর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। ভিপি নূর বলেন, বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, গণঅধিকার পরিষদসহ প্রায় ৫০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল আছে, ছাত্রদেরও দল আছে। আমরা যখন নির্বাচন চাইবো তখনই নির্বাচন হবে। এরই মধ্যে বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করেছেন, আগামী ডিসেম্বর অথবা পরের বছরের জুন মাসের মধ্যে নির্বাচন হবে। আশা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, আপনাদের এই এলাকায় এমপি ছিল। তেলবাজি আর চাটুকারিতা করে এমপি পদ ভাগিয়ে নিয়েছিল মমতাজ বেগম। আমার দুঃখ হয়, জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয় জননন্দিত ছিলেন, অথচ আওয়ামী লীগ করে শেষ পর্যন্ত চরম নিন্দিত হয়েছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন জাহিদ মালেক। করোনাকালীন জুতাণ্ডঝাড়ু নিয়ে মানুষ তার বিরুদ্ধে মিছিল করেছে। কিন্তু শেখ হাসিনা তাদের এমপি-মন্ত্রীর পদ থেকে সরান নাই। কারণ শেখ হাসিনা এই সব গোপাল ভারদের দিয়েই দেশ চালিয়েছেন। নূর বলেন, দেশে ৫৩ বছরের রাজনীতিতে বহু সরকার ও বহু প্রধানমন্ত্রী দেখেছে দেশের জনগণ। নির্বাচনের আগে বহু আশা-আকাঙ্ক্ষা দেখালেও ক্ষমতায় গিয়ে সব ভুলে যায় বিজয়ীরা। অর্থাৎ যে লংকায় যায় সেই রাবণ হয়। মানুষ আর এই রাজনীতি চায় না। মানুষ দেশের উন্নয়ন চায়। কাজেই দেশের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রয়োজন। সংস্কারের বিষয়ে তিনি বলেন, দেশের মানুষের উন্নয়নের জন্য নির্বাচিত সরকার যেমন প্রয়োজন। আবার সেটাকে দীর্ঘমেয়াদি ও সুশৃঙ্খল করার জন্য সংষ্কারও প্রয়োজন। রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য আত্মশুদ্ধি ও আত্মসংযমের সময় এখন। সাধারণ মানুষের কাছে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরার সময় এখন। কাজেই জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য উপযুক্ত সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। জনসভায় প্রধান বক্তা দলটির সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, আপনাদের এই এলাকায় স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের সময়ে মমতাজ বেগম এমপি হয়েছিল। সংসদে শেখ মুজিবর আর শেখ হাসিনার কথা বলে টেবিল থাপড়িয়ে এবং গান গেয়ে এমপি হয়েছিল। এখানে আসার সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের মুখে শুনলাম মমতাজের নাকি মেম্বার হওয়ার যোগ্যতাও নাই। তাহলে বুঝেন স্বৈরাচার শেখ হাসিনা অযোগ্যদেরকে এমপি বানিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে কোনোভাবেই পতিত আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেয়া হবে না। আমাদের দাবি, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হোক। তিনটি দাবি কথা উল্লেখ্য করে রাশেদ খান বলেন, আমরা তিনটি দাবির কথা বর্তমান ড. ইউনূস সরকারকে জানিয়েছি। গণঅধিকার পরিষদের মানিকগঞ্জ সিংগাইর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবুর সঞ্চালনায় ও সভাপতি আলামিন দেওয়ানের সভাপতিত্বে জনসভায় উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান, গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতা পরিষদ সদস্য হাবিবুর রহমান রিজু, মাহফুজুর রহমান খান, গণঅধিকার পরিষদের ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. তোফাজ্জল হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট আরও অনেকেই।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত