লবঙ্গ শুধু রান্নার মশলা নয়, এটি রোগ প্রতিরোধ ও নিরাময়ে কার্যকর একটি প্রাকৃতিক ওষুধ। লবঙ্গে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ভিটামিন কে, ও প্রচুর পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ। ম্যাঙ্গানিজ মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে এবং হাড় শক্ত রাখতে সাহায্য করে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন খাবার পর দুটি লবঙ্গ খেলে অনেক স্বাস্থ্য উপকার পাওয়া যায়।
দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমায় : লবঙ্গে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। এ ছাড়া এতে রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েড, ফেনোলিক যৌগ আর ভিটামিন সি। এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্টগুলো দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় : লবঙ্গে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে, যা একটি শক্তিশালী ইমিউন সিস্টেমের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত লবঙ্গ খেলে শরীরের অসুস্থতার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে পারে।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় : বঙ্গের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এটি রক্তচাপ কমাতে, রক্তনালির কার্যকারিতা ভালো রাখতে ও হৃদ্?রোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।
দাঁত ও মুখের জন্য উপকারী : দাঁতের সমস্যা সমাধানের জন্য লবঙ্গের ব্যবহার বহু পুরোনো। লবঙ্গে থাকা ইউজেনল একটি প্রাকৃতিক ব্যথানাশক আর অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে এটি দাঁত ও মাড়ির ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়। এটি মুখের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়াগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি সতেজ নিঃশ্বাস ও মুখগহ্বরের স্বাস্থ্যরক্ষার কাজ করে।
হাড়ের জন্য ভালো : লবঙ্গ ম্যাঙ্গানিজ এবং ভিটামিন কে-এর একটি ভালো উৎস, যা শক্তিশালী হাড় তৈরিতে এবং হাড়ের খনিজ পদার্থগুলো ঠিক রাখার জন্য প্রয়োজনীয়। দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় লবঙ্গ অন্তর্ভুক্ত করলে শক্তিশালী হাড় গড়তে তা অবদান রাখতে পারে। বিশেষ করে হাড় ফাঁপা হয়ে আসা বয়স্কদের জন্য এটি বেশ উপকারী।
ডায়াটিশিয়ানদের মতে, অতিরিক্ত লবঙ্গ খাওয়া বিপজ্জনক। এটা রক্ত পাতলা করে, ফরে রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়ে। হাইপোগ্লাইসিমিয়া বা রক্তে শর্করা কমে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে। লবঙ্গ বা এর তেলে অনেকর অ্যালার্জি হতে পারে। লবঙ্গের ব্যবহারে সতর্ক থাকা উচিত এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োগ করা উচিত।