ঢাকা বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সুসংবাদ প্রতিদিন

মাশরুম চাষে সফলতা

মাশরুম চাষে সফলতা

মাশরুম চাষ করে সফলতা পেয়েছেন বগুড়া জেলার সোনাতলা উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের শালিকা এলাকার তরুণ উদ্যোক্তা আব্দুল মমিন। আব্দুল মোমিন বলেন, বেকারত্ব থেকে মুক্তির প্রত্যয় নিয়ে কয়েক মাস আগে মাগুরা জেলার গ্রীন মাশরুম সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণ নেন। বর্তমানে তার খামারে ৫০০টির উপর মাশরুমের স্পন প্যাকেট রয়েছে। যা থেকে তিনি প্রায় ৪০০-৫০০ কেজি মাশরুম পাওয়ার আশা করছেন।

তিনি জানান, প্রথম স্পন প্যাকেট থেকে ২৫ হতে ৩০ দিনের মধ্যে ফলন আসে। ২ কেজির একটি স্পন প্যাকেট থেকে প্রায় ২ কেজি মাশরুম পাওয়া যায়। বর্তমানে তার খামারে ৩টি জাতের মাশরুম রয়েছে। তিনি প্রতিদিন ১০-১৫ কেজি মাশরুম বিক্রি করে থাকেন। প্রতি কেজি মাশরুম পাইকারি ২০০-২৫০ এবং খুচরা ৩০০-৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়াও শুকানো মাশরুম প্রতি কেজি ১৪০০-১৫০০ টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে। মাশরুম উৎপাদনের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রজাতির মাশরুম বীজ (স্পন) উৎপাদন করেন তিনি। তার উৎপাদিত মাশরুম বীজ (স্পন) দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি হচ্ছে। একেকটি স্পন তৈরি করতে সময় লাগে প্রায় ২৮ দিন। স্পন তৈরিতে ব্যবহৃত হয় কাটের গুড়া, খড়, গমের ভুষি, ধানের গুড়া ও চুন ইত্যাদি।

মাশরুম চাষের জন্য কোনো উর্বর জমির প্রয়োজন হয় না। বসতঘরের পাশে অব্যবহৃত জায়গা ও ঘরের বারান্দা ব্যবহার করে অধিক পরিমাণ মাশরুম উৎপাদন করা সম্ভব। প্রতিটি পূর্ণাঙ্গ প্যাকেট থেকে প্রায় এক থেকে দেড় কেজি মাশরুম পাওয়া যায়। মাশরুম চাষ একটি লাভজনক ব্যবসা হওয়ায় মমিনকে দেখে অনেক বেকার যুবক আগ্রহী হচ্ছে মাশরুম চাষে। মাশরুম চাষ দেখতে অনেকে ভিড় করছেন তার বাড়িতে। তার কাছ থেকে বীজ নিয়ে মাশরুম চাষ শুরু করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার এ. কে. এম মফিদুল ইসলাম জানান, মাশরুম খুবই পুষ্টিকর ও সুস্বাদু সবজি। উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় এটি খুবই লাভজনক ব্যবসা। এদেশের জলবায়ু ও আবওহাওয়া মাশরুম চাষের উপযোগী। বর্তমান বাজারে এর চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদে আগ্রহী হচ্ছেন চাষিরা। উপজেলা কৃষি অফিসার সোহরাব হোসেন বলেন, মাশরুম মানব দেহের জন্য খুবই উপকারী ও ঔষধিগুণে ভরপুর। খাবারের পাশাপাশি মাশরুম চাষ অনেক লাভজনক। মাশরুম একটি সম্ভাবনাময় ফসল। এদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু মাশরুম চাষের উপযোগী। মাশরুম চাষ ও এর ব্যবহার সম্পর্কে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ নিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরসহ কৃষি সংশ্লিষ্ট দপ্তর।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত