ঢাকা রোববার, ০৪ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সুসংবাদ প্রতিদিন

লতিকচু চাষে সাফল্য

লতিকচু চাষে সাফল্য

কুমিল্লার তিতাসের বলরামপুর ইউনিয়নের ঐচারচর গ্রামের কৃষক মো. পলাশ লতিকচু চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছে। শীত মৌসুমের শুরুতে গত ডিসেম্বর মাসে দেড় বিঘা জমিতে চারা রোপণ করেন। নিয়মিত আন্তঃপরিচর্যা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে বর্তমানে তিনি ‘কচুর লতি’ বিক্রি করে এ পর্যন্ত প্রায় লাখ টাকার উপরে উপার্জন করেছেন। তিন সন্তানের জনক কৃষক পলাশ উপজেলার ঐচারচর গ্রামের মোতালেব মিয়ার ছেলে।

ঐচারচর গ্রামের কৃষক মো. পলাশ জানান, আমার জীবনে এই প্রথম লতি কচুর আবাদ করেছি। তাই একটু শঙ্কায় ছিলাম। বাজারে দাম কেমন পাব, ফলন কেমন হবে। তবে এখন আমি খুবই খুশি। প্রতিদিন কচুর লতি তুলছি, স্থানীয় বাজারে ভালো দামে বিক্রি করতে পারছি। আর এই লতি কচু চাষের শুরু থেকে এ পর্যন্ত কৃষি অফিস আমাকে সর্বত্র সহযোগিতা করেছে। বিশেষ করে আমি নিজেই জমি প্রস্তুত, চারা রোপণ, আগাছা পরিষ্কার ও সেচ সবকিছুই করেছি। দেড় বিঘা জমিতে লতি কচু চাষে আমার খরচ হয়েছিল প্রায় ৩৩ হাজার টাকা। এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ২৫ টাকার লতি আমি বিক্রি করেছি। আশা করছি আরও ১ লাখ টাকার বেশি বিক্রি আসবে। কালাইগোবিন্দপুর ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কাউছার আহমেদ বলেন, পলাশের মতো উদ্যমী কৃষকদের আমরা সবসময় পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে থাকি। তার এই সাফল্য অন্যদের জন্য অনুকরণীয় হয়ে উঠবে বলে আমার বিশ্বাস। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফ আব্দুল্লাহ মোস্তাফিন বলেন, লতি কচু চাষ লাভজনক ও তুলনামূলকভাবে কম ঝুঁকিপূর্ণ। কৃষকরা সঠিক পরামর্শ গ্রহণ ও তা প্রয়োগ করলে অল্প সময়ের মধ্যেই ভালো ফলন পাওয়া যায়। কৃষক পলাশকে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে পর্যাপ্ত সহযোগিতা করা হয়েছিল। তার এই সাফল্য এলাকার অন্যান্য কৃষকদের মধ্যেও উৎসাহ সৃষ্টি করেছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত