জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেছেন, ভারতের সুপ্রিমকোর্ট গতকাল বিতর্কিত ওয়াকফ বিল স্থগিত ঘোষণা করেছে। আমরা কোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানাই। মূলত ভারতের প্রায় ১০ লাখ একর ওয়াকফ সম্পত্তির ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে অসংখ্য মাদ্রাসা-মসজিদ বন্ধ করার পরিকল্পনা নিয়েই এই বিতর্কিত বিলটি পাস করা হয়। ভারতের বিজেপি সরকারের মনে রাখা উচিত যে, একের পর এক এ রকম কালো আইন করে কখনোই মুসলিমদের অধিকার হরণ করা যাবে না।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বাদ জুমা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে আয়োজিত গণমিছিলপূর্ব বিক্ষোভ সমাবেশে জমিয়ত মহাসচিব এসব কথা বলেন। গাজায় অব্যাহত গণহত্যা, ভারতে বিতর্কিত ওয়াকফ বিল পাস ও মুসলিম অধিকার খর্ব করার প্রতিবাদে আয়োজিত এই বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দলের অন্যতম সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী।
মাওলানা আফেন্দী গাজা প্রসঙ্গে বলেন, গত ১৮ মার্চ হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতির চুক্তি সই করে তা ভেঙে দিয়েছে ইসরায়েল। গাজায় ব্যাপকভাবে গণহত্যা চালিয়ে মানবতা ও মানবাধিকারকে পদদলিত করে চলেছে এই হায়েনারূপী অবৈধ দখলদার রাষ্ট্র। বিগত ৬ সপ্তাহ ধরে ফিলিস্তিনের সীমানায় কোনো সহায়তাসামগ্রী ঢুকতে দিচ্ছে না ইসরায়েল। গত এক মাসে গাজার পাঁচ লাখ মানুষকে বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে। সুতরাং এই মুহূর্তে ইসরায়েল সারা বিশ্বের জন্য একটি বিষফোঁড়া, তাকে থামাতে হবে। তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া এবং তাকে দুর্বল ও ধ্বংস করতে তার সকল প্রকার পণ্য বয়কট করার কোনো বিকল্প নেই। আমাদের এই বয়কট আন্দোলন আরও জোরদার করতে হবে।
দলের প্রচার সম্পাদক মাওলানা জয়নুল আবেদীনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস কাসেমী, ঢাকা মহানগর উত্তর জমিয়তের সভাপতি মুফতী মকবূল হোসাইন কাসেমী, কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব মাওলানা তালহা ইসলাম, পাঠাগার সম্পাদক মাওলানা হেদায়েতুল ইসলাম, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি মাওলানা এখলাসুর রহমান রিয়াদ ও ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের বর্তমান সভাপতি মাওলানা রিদওয়ান মাজহারী প্রমুখ।