ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ছাত্রদল-বৈষম্যবিরোধী পাল্টাপাল্টি

পারভেজ হত্যায় ৮ জনকে আসামি করে মামলা
ছাত্রদল-বৈষম্যবিরোধী পাল্টাপাল্টি

বেসরকারি প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বিবাদের জেরে ছুরিকাঘাতে জাহিদুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় ৮ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। গতকাল মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বনানী থানার উপ-পরিদর্শক (অপারেশন) একেএম মইনুদ্দিন।

একেএম মইনুদ্দিন বলেন, প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত জাহিদুলের ভাই হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলবি ও ইংরেজি বিভাগের তিন ছাত্র মাহাথি, মেহেরাব, আবুজর গিফারী ছাড়াও আরও পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। মোট আসামি আটজন। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।

এদিকে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যার ঘটনায় একে অপরের দিকে পাল্টাপাল্টি অভিযোগের তীর ছুড়ছে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। পারভেজ হত্যায় ছাত্রদল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সদস্যকে দায়ী করলেও তা অস্বীকার করে নিন্দা জানিয়েছে প্লাটফর্মটি। গতকাল ভোরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এই সংক্রান্ত পোস্ট করা হয়। এতে বলা হয়, প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলকর্মী পারভেজ হত্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানার যুগ্ম আহ্বায়ক সোবহান নিয়াজ তুষার ও যুগ্ম সদস্য সচিব হৃদয় মিয়াজীকে দায়ী করেছে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসিরসহ অন্যান্যরা। তারা হত্যার সাথে কোনোভাবেই জড়িত নন।

ছাত্রদলের এমন ঘৃণ্য মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আরও বলা হয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সংগঠন পিইউএসএবি তাদের ফেসবুকে যে তিনজনের নাম উল্লেখ করেছে, সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন অন্তর্ভুক্ত নন। দেশের মিডিয়াতেও আমাদের কোনো নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিন্দুমাত্র অভিযোগের কথা বলা হয়নি। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গেছে। সেখানেও তুষার এবং হৃদয় মিয়াজীর কোনো উপস্থিতি ও হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা দেখা যায়নি। পোস্টে আরও বলা হয়, মৃত ব্যক্তিকে ছাত্রদল ব্যবহার করছে। এর আগে ছাত্রদলের সংবাদ সম্মেলনে ‘দায় দিয়ে দাও’ সংস্কৃতির প্রচলন দেখেছি। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সেই সংস্কৃতির পুনরাবৃত্তি করছেন। প্রত্যক্ষদর্শী এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত কোনো ব্যক্তির বরাতেও তুষার এবং হৃদয়ের কথা পাওয়া যায়নি। ছাত্রদলের এমন কার্যক্রম নতুন বাংলাদেশ ও রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে কাম্য নয়।

তারা আরও অভিযোগ করেন, প্রমাণ ছাড়াই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন নেতার নাম জড়িয়ে ফেসবুকে মব ট্রায়াল চালানো হচ্ছে। এর ফলে ওই দুই নেতার নিরাপত্তায় ব্যাঘাত ঘটছে। একইসঙ্গে পারভেজ হত্যার মূল আসামিরা অনালোচিত থেকে যাচ্ছে। পারভেজ ছাত্রদল কর্মী হলেও ছাত্রদলেরই সাধারণ সম্পাদক হত্যাকারীদের কেন আড়াল করতে চাইছেন, তা আমাদের বোধগম্য নয়। বিষয়টি গোয়েন্দা বাহিনীকে খতিয়ে দেখার অনুরোধও জানান তারা।

উল্লেখ্য, প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যার ঘটনায় শনিবার রাতে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, এই হত্যাকাণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী শাখার সদস্যরা জড়িত।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত