ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সুসংবাদ প্রতিদিন

তিস্তার চরাঞ্চলে বাদামের বাম্পার ফলন

তিস্তার চরাঞ্চলে বাদামের বাম্পার ফলন

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার অন্তর্ভুক্ত তিস্তা নদীর বুকে জেগে ওঠা বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে এবার বাদামের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

সবুজে মোড়ানো চরজুড়ে এখন কৃষক-কৃষানিদের নিবিড় পরিচর্যায় বেড়ে উঠছে নয়ন জুড়ানো বাদামের খেত। স্থানীয় কৃষি বিভাগ ও কৃষকরা আশা করছেন, এ বছর চাষকৃত প্রায় ১৭৫ হেক্টর জমি থেকে আনুমানিক ৩৩২ টন বাদাম উৎপাদিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চরাঞ্চলের কৃষকরা শীতকালীন ফসল- আলু, পেঁয়াজ, রসুন ও কুমড়ো- এরইমধ্যে ঘরে তুলে নেওয়ার পর সে জমিতেই বাদামের চাষ করেছেন। বর্তমানে বেড়ে ওঠা বাদাম গাছের পরিচর্যা বিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিস্তা অববাহিকার চাষিরা।

উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের গতিয়াশম গ্রামের কৃষক তহির উদ্দিন জানান, আমি ১ একর জমিতে এবার বাদাম চাষ করেছি। এতে আনুমানিক খরচ হবে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। ফলন ভালো হলে প্রতি একরে প্রায় ৪০ মণ বাদাম পাওয়া যাবে। বাজারে দাম ভালো থাকলে ভালো লাভের সম্ভাবনা রয়েছে। একই গ্রামের আরেক কৃষক আমিনুল ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে আমি ৪ একর জমিতে বাদাম চাষ করেছি। বীজ কিনেছি প্রতি কেজি ৮ থেকে ১০ হাজার টাকায়। বীজ বপন, কীটনাশক স্প্রে ও শ্রমিকের খরচসহ একর প্রতি খরচ হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ হাজার টাকা। ফলন ভালো হলে প্রত্যাশিতভাবে ৪০ মণ বাদাম পাওয়া যাবে। তবে বাজারে যদি প্রতিমণ ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার টাকায় বিক্রি হয়, তাহলে লাভবান হবো। কিন্তু যদি দাম নিম্নগামী হয়ে ২ থেকে আড়াই হাজার টাকায় নেমে আসে, তবে লোকসানের মুখ দেখতে হবে। তিনি আরও জানান, বাজারে ভালো দাম না পাওয়ায় গত বছরে উৎপাদিত বাদাম এখনও অনেকেই বিক্রি করতে পারেননি। বর্তমানে সেগুলো মাত্র আড়াই হাজার টাকা মণপ্রতি বাজার দরে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। তাছাড়া বাদাম খেতের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো পোকার আক্রমণ। যতই ওষুধ ব্যবহার করছি, ততই যেন পোকার আক্রমণ বাড়ছে, পোকা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত