প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বারবার আলোচনা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহায়ক হবে। তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি বৈশ্বিক আলোচনার মানচিত্র থেকে দূরে চলে গিয়েছিল। এ ইস্যুটি যে একটি বড় ধরনের মানবিক সংকট তা মানুষের স্মৃতিতে ছিল না। ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ ও আশ্রয়ের বিষয়টি নিয়ে কোথাও তেমন কোনো আলোচনা ছিল না। গতকাল বুধবার কাতারের দোহায় আর্থনা সম্মেলনে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য নিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। শফিকুল আলম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে রোহিঙ্গা ইস্যু তুলে ধরতে রোহিঙ্গাদের জন্য হাইরিপ্রেজেন্টেটিভ অফিস তৈরি করেন। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর গত বছর জাতিসংঘ সম্মেলনে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন। উনার অনুরোধে জাতিসংঘ একটি রেজুলেশন গ্রহণ করে। আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলাদা সম্মেলন হবে। ১৭০টি দেশ সেখানে অংশগ্রহণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ দোহার আর্থনা সম্মেলনে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি তুলে ধরেন। রোহিঙ্গা সমস্যাটি এখন কী পর্যায়ে রয়েছে, আমাদের এখন কী করণীয় ইত্যাদি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, থাইল্যান্ডের ব্যাংককে সম্প্রতি বিমসটেক সম্মেলনেও মিয়ানমারের দায়িত্বশীল কর্মকর্তার সঙ্গে রোহিঙ্গাবিষয়ক হাইরিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমানের ফলপ্রসূ বৈঠক হয়। বৈঠকে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়। প্রধান উপদেষ্টার উদ্যোগে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে ধারাবাহিক আলোচনা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহায়ক হবে বলে জানান শফিকুল আলম।