তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ডের জন্য রেলের কাছে জমি চাইবে ডিএনসিসি

প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

তেজগাঁও রেলস্টেশনের পাশে স্থায়ী ট্রাক স্ট্যান্ড তৈরির জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ২১ বিঘা জমি চাইবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। গতকাল বুধবার তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ড পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। ট্রাক স্ট্যান্ড পরিদর্শন শেষে ট্রাক-লরি মালিক ও শ্রমিক সমিতির নেতারা তাকে তেজগাঁও রেলওয়ের ২১ বিঘা জমি ঘুরিয়ে দেখান। তারা সেখানে শ্রমিকদের আবাসনের জন্য বহুতল ভবন ও পার্কিংয়ের ব্যবস্থা বাড়ানোর অনুরোধ জানান। পরে সাংবাদিকদের আতিকুল বলেন, আমরা আজ যে জমিতে দাঁড়িয়ে আছি, সেটা রেলওয়ের জায়গা, সিটি করপোরেশনের নয়। রেলওয়েকে চিঠি লিখে বলব, ২১ বিঘা যে জমি যেটা আছে, সেটি আমাদের দিয়ে দেওয়ার জন্য। তাহলে আমরা একটি প্রজেক্টের মাধ্যমে এ

জায়গাটাতে আন্ডারগ্রাউন্ডে এবং উপরে মাল্টি পার্কিংয়ের একটা বন্দোবস্ত করতে পারি। অর্থাৎ আমরা একটা সাসটেইনেবল ডিসিপ্লিন্ড ওয়েতে যাব।

তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ডের স্থায়ী সমাধানে পথ খুঁজতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করছে। ২০১৫ সালের ১০ ডিসেম্বর তেজগাঁও ট্রাক স্ট্যান্ড পার্কিংমুক্ত ঘোষণা করেন। সেসময় তেজগাঁওয়ের ট্রাক স্ট্যান্ডকে দখলমুক্ত করতে গিয়ে শ্রমিকদের হামলার শিকারও হয়েছিলেন আনিসুল হক।

পরে উত্তর সিটি করপোরেশন এ ট্রাক স্ট্যান্ডটি আমিনবাজারে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। এর আগে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ডিএনসিসি মেয়র ভাষানটেক বাজার থেকে পকেট গেট পর্যন্ত সরু সড়ক, ভাষানটেক বস্তি ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইব্রাহিমপুর এলাকা পরিদর্শন করেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। পরে মেয়র বলেন, ভাষানটেকের মূল রাস্তাটি ১২০ ফুট চওড়া। এ এলাকার মানুষ জানে আগে কী অবস্থা ছিল! এখানে চলতে গেলে আগে অনেক ট্রাফিক জ্যাম হতো। আগের চিত্র এবং বর্তমান চিত্রের মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, এই ১২০ ফুট চওড়া রাস্তা পেরিয়ে ভেতরে ঢুকলে রাস্তা ২০ ফিট হয়ে যাচ্ছে। সুতরাং আমরা চাই, যে জায়গাগুলোতে দখল করে নেওয়া হয়েছে, যে জায়গাগুলো মানুষ দখল করেছে, তা উদ্ধার করতে হবে। এটাকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। আতিকুল বলেন, যতটুকু জায়গায় রাজউকের অনুমোদন আছে, ততটুকুতেই ভবন বানাতে হবে। দখলকৃত জায়গা ছেড়ে দিতে হবে। রাজউক বাড়ির সীমানা নির্ধারণ করে দেবে। পরে কেউ যদি আবার জায়গা দখল করতে আসে; তবে সিটি করপোরেশন তা ভেঙে দেবে।