মহামারি পরিস্থিতিতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির কথা তুলে ধরে আগামী ২ বছরের জন্য শ্রমিকদের বার্ষিক ৫ শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধির (ইনক্রিমেন্ট) বাধ্যবাধকতা স্থগিত রাখার আবেদন করেছে মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ।
গত ২৭ ডিসেম্বর বিকেএমইএ সভাপতি একেএম সেলিম ওসমান শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ানের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই আবেদন করেন।
“মজুরি বোর্ড ঘোষিত গেজেটে শ্রমিকদের বাৎসরিক ৫% হারে মজুরি বৃদ্ধির একটি বিধান রাখা হয়েছে। যেখানে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা নিয়মিত পরিশোধ করাটাই প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বেই যেখানে বেতন-ভাতা কমিয়ে দিয়েছে, সেখানে পোশাক খাতে ৫
শতাংশ বৃদ্ধি কোনোভাবেই বাস্তবসম্মত নয়। এ অবস্থায় ৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির এই বিধানটি আগামী ২ বছরের জন্য স্থগিত করার বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি”, বলা হয়েছে আবেদনে।
এতে আরও বলা হয়, মহামারি পরিস্থিতি সামাল দিতে নেওয়া হচ্ছে নানা পদক্ষেপ। কোথাও চলছে সাময়িক বন্ধ, কোথাও কর্মী ছাঁটাই, কোথাও বা চলছে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিভিন্ন পারসেন্টেজে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা কমিয়ে দিয়ে টিকে থাকার প্রচেষ্টা। আবার ভারতের শ্রমঘন কিছু রাজ্যে স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে শ্রম আইন। মহামারি পরিস্থিতিতে বিশ্ববাজারে পোশাকের মূল্য ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কমিয়ে দেওয়ার পরও শ্রমিক-কর্মচারীদের কথা বিবেচনায় রেখে কারাখানাগুলো লোকসান দিয়েই কার্যাদেশ নিতে বাধ্য হচ্ছে বলে চিঠিতে জানিয়েছেন সেলিম ওসমান।
এদিকে বিকেএমইএর এ চিঠির প্রতিবাদ জানিয়েছেন গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার। তিনি বলেন, ‘আমরা এই উদ্যোগের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। কারখানাগুলোতে এমন কিছু করা হলে সবাই প্রতিবাদ জানাবে। আমরা শ্রমিক সংগঠনগুলো একত্র হয়ে এই উদ্যোগের প্রতিবাদে কর্মসূচি দেব।’