ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান জাতির কাছে সঠিক ইতিহাস পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ইতিহাস বিকৃতি রোধে পরিষদের সদস্যদের নির্মোহভাবে কাজ করতে হবে। গত শুক্রবার ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের দু’দিনব্যাপী ১৩তম দ্বি-বার্ষিক আন্তর্জাতিক ইতিহাস সম্মেলন ও সাধারণ সভা উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের সহ সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম কিবরিয়া ভূঁইয়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবদুর রহিম। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবির। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ইতিহাস পঠন-পাঠনে পরিবর্তন আনার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ইতিহাসকে আরও গণমুখী করতে হবে এবং জনকল্যাণে কাজে লাগাতে হবে। অন্তর্ভুক্তিমূলক সমৃদ্ধ সমাজ বিনির্মাণ এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালনের জন্য তিনি ইতিহাস পরিষদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, মৌলিক গবেষণা পরিচালনা এবং মানুষকে ইতিহাস সচেতন করে তুলতে বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ কাজ করে যাচ্ছে। লিঙ্গ বৈষম্য নিরসন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীদের সম্পৃক্ত করার ক্ষেত্রেও ইতিহাস পরিষদকে ভূমিকা রাখতে হবে। মহান বিজয়ের মাসে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ প্রকাশিত ‘ইতিহাসে নারী’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।