ঢাকা ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া আমাদের আকাঙ্ক্ষা

উপাচার্য ড. মশিউর রহমান
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া আমাদের আকাঙ্ক্ষা

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া আমাদের আকাঙ্ক্ষা। এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৃত অর্থেই দেশের একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হোক-এটি আমাদের চাওয়া। এ লক্ষ্যে আমরা নানামুখী কার্যকর উদ্যোগ এরইমধ্যে গ্রহণ করেছি। আরও বহুবিধ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে এগোনোর চেষ্টা করে যাচ্ছি। গতকাল শনিবার গাজীপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে সিনেট হলে ‘বার্ষিক বিশেষ সিনেট অধিবেশন-২০২২’ এ সিনেট চেয়ারম্যানের অভিভাষণে এসব কথা বলেন তিনি। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন ভাইস-চ্যান্সেলর ও সিনেট চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান।

অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান বলেন, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান এবং শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমে আনার কার্যকর উদ্যোগ এখন অপরিহার্য। উচ্চশিক্ষার মান নিশ্চিত বিষয়ে কোনোরূপ ছাড় দেয়া বা সমঝোতা করা জাতির জন্যই সংকট বয়ে আনবে। শিক্ষার্থীদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক নানাবিধ প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। তবু তারা চায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে। এ আগ্রহ ইতিবাচক। পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশেও তরুণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে অনাগ্রহ পরিলক্ষিত হচ্ছে। সে বিবেচনায় আমাদের জন্য এটি ইতিবাচক দিক যে, আমাদের তরুণ শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণে প্রবল আগ্রহী। এ আগ্রহে অনুপ্রেরণা জোগানো প্রয়োজন।

শিক্ষার মানোন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, সিইডিপি পরিচালিত ১৬টি বিষয়ে শিক্ষক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি জিআইএস ও রিমোট সেন্সিং, মেন্টাল হেলথ, স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস, গবেষণা পদ্ধতি প্রভৃতি বিষয়ে এরইমধ্যে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদানের কাজ আমরা শুরু করেছি।

সিনেট চেয়ারম্যান ড. মশিউর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা একজন দূরদর্শী, দক্ষ ও আত্মবিশ্বাসে ভরপুর ক্যারিশমেটিক নেতা। বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিশন ‘ঝগঅজঞ ইঅঘএখঅউঊঝঐ’ প্রতিষ্ঠা ও তা রূপায়নের পথ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে উচ্চারণ করেছেন। আমরা তার এ রূপকল্পে মানস গঠনে ভূমিকা রাখতে চাই।

অধিবেশনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়নের বিষয়ে বিভিন্ন পরামর্শ ও দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, সাবেক চিফ হুইপ ও জাতীয় সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ, সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন, সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার, সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম, পিএসসির সাবেক সদস্য অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবীর, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক শাহজাহান মিয়া, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. খলিলুর রহমান, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আবু ইউসুফ মিয়াসহ ২৩ জন সিনেট সদস্য। সিনেট অধিবেশনে ৬২ জন সিনেট সদস্য ও দুইজন আমন্ত্রিত সিন্ডিকেট সদস্য উপস্থিত ছিলেন। সিনেট অধিবেশনের শুরুতেই জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এরপর দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ও তাদের আপনজন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের উদ্দেশে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন সিনেট সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন। তাদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সিনেট অধিবেশন সমাপ্ত ঘোষণা করেন সিনেট চেয়ারম্যান ও ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত