ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নতুন বছরের শুরুতেই সুন্দরবনে বাঘ গণনা শুরু

নতুন বছরের শুরুতেই সুন্দরবনে বাঘ গণনা শুরু

সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা নির্ধারণে আবার শুরু হয়েছে বাঘ গণনা। ‘সুন্দরবন বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্প’র আওতায় এ গণনার কাজ শুরু করা হয়। নতুন বছরের প্রথম দিন গতকাল রোববার সকাল থেকে বনে ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ের (ফাঁদ) কাজ শুরু করে বন বিভাগ। খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

মিহির কুমার দো জানান, নতুন বছরের প্রথম দিন সুন্দরবনে ক্যামেরা ট্র্যাপিং পদ্ধতিতে তৃতীয়বারের মতো বাঘ গণনার কাজ শুরু হয়েছে। সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের প্রজেক্ট ডিরেক্টর (পিডি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ের মাধ্যমে সুন্দরবনের বাঘ গণনা শুরু হয়েছে। ৩০ জন লোক এ কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। জানা গেছে, বনের গভীরে এমন সব জায়গায় ক্যামেরা স্থাপন করা হবে, যেখান দিয়ে বাঘ চলাচলের সম্ভাবনা আছে। খুঁটিতে বাঘের আনুমানিক উচ্চতায় ক্যামেরা বসানো হবে। এসব ক্যামেরার সামনে দিয়ে বাঘ বা কোনো প্রাণী চলাফেরা করলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছবি উঠবে। আর এ কাজে সব মিলিয়ে ৬৬৫টি গ্রিডে জোড়া ক্যামেরা বসানো হবে। এর মধ্যে সাতক্ষীরা রেঞ্জে ২০০টি, খুলনা রেঞ্জে ১৪০টি, শরণখোলা রেঞ্জে ১৮০টি এবং চাঁদপাই রেঞ্জে ১৪৫টি।

প্রতিটি গ্রিডে এক জোড়া ক্যামেরা বসানো হবে। প্রতি গ্রিডে ৪০ দিন ক্যামেরা থাকবে। প্রতি ১৫ দিন অন্তর ক্যামেরার ব্যাটারি ও এসডি কার্ড পরিবর্তন করতে হবে। ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ের মাধ্যমে ছবি তোলার পর অ্যানালাইসিস করে বাঘের সংখ্যা নির্ধারণ করা হবে।

এ পদ্ধতিতে ২০১৩-১৫ সালে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে প্রথম বাঘ জরিপ করা হয়। তখন বাঘ পাওয়া গিয়েছিল ১০৬টি। দ্বিতীয়বার ২০১৭-১৮ সালে জরিপ করে বাঘের সংখ্যা পাওয়া যায় ১১৪টি। জানা গেছে, এর আগে ২০০৪ সালে বন বিভাগ জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) সহায়তায় বাঘের পায়ের ছাপ গুনে জরিপ করেছিল। এতে বাঘের সংখ্যা এসেছিল ৪৪০টি। তার আগে ক্যামেরায় ছবি তুলে ২০০৬ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনিরুল হাসান খান ব্রিটিশ জুয়োলজিক্যাল সোসাইটির সহায়তায় সুন্দরবনে বাঘ গণনা জরিপ করেন। তাতে বাঘের সংখ্যা ছিল ২০০টি। এছাড়া ২০১০ সালে বন বিভাগ ও ওয়াইল্ড লাইফ ট্রাস্ট অব বাংলাদেশ যৌথভাবে সুন্দরবনের খালে বাঘের বিচরণ পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে একটি জরিপ করে। এতে বাঘের সংখ্যা ৪০০ থেকে ৪৫০টি বলে উল্লেখ করা হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত