ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নারায়ণগঞ্জের সুইপার কলোনিতে জলাবদ্ধতায় জনদুর্ভোগ

নারায়ণগঞ্জের সুইপার কলোনিতে জলাবদ্ধতায় জনদুর্ভোগ

ঘুম থেকে উঠে যারা নগরকে পরিচ্ছন্ন রাখেন, দুই সপ্তাহ ধরে তারা নিজেরাই রয়েছেন অপরিচ্ছন্ন অবস্থায়। প্রতিদিন যেমন নোংরা পানি মাড়িয়ে কর্মস্থলে যেতে হচ্ছে, তেমনি দৈনন্দিন শৌচাগার ব্যবহার ও প্রার্থনাসহ নানা কাজকর্মও বিঘিœত হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১২নং ওয়ার্ডের ইসদাইর পিলখানায় পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের (সুইপার) কলোনিতে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। সুইপারদের কলোনি-সংলগ্ন ক্রীড়া সংস্থার জলাশয়টি ভরাট করার কারণে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ১৫ দিন ধরে জলাবদ্ধতার কবলে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন সুইপাররা। জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১২নং ওয়ার্ডের ইসদাইর পিলখানায় দীর্ঘদিন ধরেই বসবাস করছেন পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা (সুইপার)। বর্তমানে এখানে ৭৫ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মীর পরিবার বসবাস করছে। তাদের বাসস্থানের ঠিক পেছনেই রয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার অধীনস্থ একটি জলাশয়। সম্প্রতি ওই জলাশয়টিতে মাটি ফেলে ভরাট করা হয়েছে। এতে করে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের টয়লেটসহ গোসলখানার পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে ১৫ দিন ধরে ওই কলোনিতে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা।

এ বিষয়ে কলোনির বাসিন্দা ঢাকা বিভাগের শ্রেষ্ঠ জয়িতার পুরস্কারপ্রাপ্ত সোনু রানী দাস জানান, গত ১৫ দিন ধরে আমরা জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে মারাত্মক দুর্ভোগে রয়েছি। আমাদের কলোনির বসতিগুলোর পয়ঃনিষ্কাশন হতো পার্শ্ববর্তী জলাশয়ের মাধ্যমে। কিন্তু সেটি সম্প্রতি ভরাট করে ফেলা হয়েছে। এতে করে কলোনির বসতিগুলোয় বিরাজ করছে জলাবদ্ধতা। বেশ কিছু বসতি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় তারা অন্যত্র চলে গেছে। এই নোংরা পানি মাড়িয়ে আমাদের কর্মস্থলে যেতে হচ্ছে। মন্দিরের সামনের সড়কটিও পানিতে তলিয়ে থাকায় আমরা পূজাও করতে পারছি না। দীর্ঘদিন ধরে পানিতে তলিয়ে থাকলেও স্থানীয় কেউ আমাদের কোনো খোঁজখবর নেয়নি। এ বিষয়ে আমরা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। নাসিকের প্রকৌশল বিভাগ বলেছে দ্রুত সমাধান করবে। কিন্তু বেশ কয়েক দিন পার হলেও কোনো সমাধান হয়নি। দ্রুত জলাবদ্ধতার হাত থেকে আমাদের মুক্তি দিতে স্থানীয় কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু ও মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। ১২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু বলেন, এই তীব্র শীতে জলাবদ্ধতায় পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা চরম দুর্ভোগে রয়েছে। আমরাও চাই বিষয়টি দ্রুত সমাধান হোক। এ বিষয়ে আমি নাসিকের প্রকৌশল বিভাগের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা দ্রুত সমাধান করবেন বলে জানিয়েছেন। নাসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আজগর হোসেন জানান, সোমবার আমরা কলোনটি পরিদর্শন করেছি। পানি নিষ্কাশনের স্থায়ী বন্দোবস্ত করার জন্য সেখানে গভীর ড্রেন নির্মাণ করতে হবে। আপাতত আমরা প্রাথমিকভাবে পানি নিষ্কাশনের জন্য অস্থায়ী বন্দোবস্ত করব। দুয়েক দিনের মধ্যে পানি নিষ্কাশন সম্ভব হবে বলে আশা করছি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত