ড্রেন-খালে পয়ঃবর্জ্যরে সংযোগ বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান
প্রকাশ : ০৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
পয়ঃবর্জ্যরে সংযোগ সারফেস ড্রেনে, খালে বা লেকে দেয়া বন্ধ করতে গতকাল বুধবার থেকে অভিযান শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। অভিযানের অংশ হিসেবে গুলশান-২ এ ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম নিজে উপস্থিত থেকে সারফেস ড্রেন থেকে দুটি বাড়ির পয়ঃবর্জ্যরে সংযোগ বন্ধ করে দেন। গতকাল দুপুরে গুলশান-২ এর ১০৪ ও ১১২ নম্বর রোডের দুটি বাড়ির সামনে ড্রেনে কলাগাছ দিয়ে সারফেস ড্রেন থেকে পয়ঃবর্জ্যরে সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়। এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মেয়র বলেন, ‘পয়ঃবর্জ্যরে সংযোগ সারফেস ড্রেনে, খালে বা লেকে দেয়া বন্ধ করতে আজ থেকে আমরা এই অভিযান শুরু করেছি। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এরইমধ্যে আমরা এই তালিকা প্রণয়ন করে ফেলেছি। সারফেস ড্রেনে ও খালে পয়ঃবর্জ্যরে সংযোগ পেলে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবে না। কোনোভাবেই ব্ল্যাক ওয়াটার সিটি করপোরেশনের ড্রেনে, খালে, লেকে ঢুকতে পারবে না।’ মেয়র আরও বলেন, কোনোভাবেই পয়ঃবর্জ্যরে সংযোগ সারফেস ড্রেনে দেয়া যাবে না। এই বিষয়ে আমরা অনেক আগে থেকেই বার বার সচেতন করে আসছি। গণবিজ্ঞপ্তিও দিয়েছি। সোসাইটির প্রতিনিধিদের নিয়ে সভা করে আমরা জানিয়েছি, যেন পয়ঃবর্জ্যরে লাইন সারফেস ড্রেনে না দেয়া হয়। বার বার বলার পরও কেউ কর্ণপাত করছে না। এ সময় তিনি বলেন, আমরা গুলশান, বনানী, বারিধারা ও নিকেতন এলাকায় সরজমিনে সার্ভে করেছি। সার্ভেতে পেয়েছি প্রায় ৮৫ শতাংশ বাড়িতেই পয়ঃবর্জ্যরে লাইন সারফেস ড্রেনে দিয়ে রেখেছে। এমনকি অনেকে চোরাই পথে সারফেস ড্রেনে পয়ঃবর্জ্যরে লাইন দিয়েছে। অভিজাত এলাকায়ই এত সমস্যা এটি এলার্মিং। এতে খাল ও লেকের পানি দূষিত হচ্ছে। এটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয়। আমি কলাগাছ দিয়ে ড্রেনের সংযোগ বন্ধ করে দিচ্ছি। ফলে ময়লা ব্যাক ফ্লো করবে। এখন বাড়ির মালিকরা সচেতন হতে বাধ্য।
উল্লেখ্য, গুলশান, বনানী, বারিধারা ও নিকেতন এলাকায় ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা, বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ড. মুজিবুর রহমান, ঢাকা ওয়াসার প্রতিনিধি,
ITN BUET এর প্রতিনিধি, হাউজিং সোসাইটির প্রতিনিধি এবং UNICEF -এর প্রতিনিধির সমন্বয়ে Sanitation Compliance Committee জরিপ কাজটির তত্ত্বাবধান করেন।
চারটি এলাকার ৩ হাজার ৮৩০টি বাড়িতে জরিপ করা হয়। এই বাড়িগুলোর মধ্যে ৩ হাজার ২৬৫টি বাড়ির পয়ঃবর্জ্য সরাসরি সারফেস ড্রেন ও লেকে পড়েছে। মাত্র ৪১টি বাড়িতে পয়ঃবর্জ্যরে সংযোগ সঠিকভাবে দেয়া আছে এবং ৫২৪টি বাড়িতে আংশিকভাবে পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে।
অভিযানে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এসএম শরিফ-উল ইসলাম এবং স্থানীয় কাউন্সিলররা।