না.গঞ্জে সুইপার কলোনির জলাবদ্ধতা নিরসন

প্রকাশ : ০৬ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

শেষ পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) টনক নড়েছে। নাসিকের ১২নং ওয়ার্ডের ইসদাইর পিলখানায় পরিচ্ছন্নকর্মীদের (সুইপার) কলোনিতে জলাবদ্ধতা সম্পর্কিত সংবাদ দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশে প্রকাশের পর গত বুধবার সকাল থেকে জলাবদ্ধতা নিরসনে মাঠে নামে নাসিকের প্রকৌশল বিভাগের একটি টিম। একই দিন বিকাল অবধি খননকাজ চালিয়ে অস্থায়ীভাবে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে স্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য শিগিগিরই ডিপ ড্রেন নির্মাণের কাজ করা হবে বলে জানিয়েছে নাসিক কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে যারা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকাকে পরিচ্ছন্ন রাখতেন গেল দুই সপ্তাহ ধরে তারা নিজেরাই ছিলেন অপরিচ্ছন্ন অবস্থায়। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১২নং ওয়ার্ডের ইসদাইর পিলখানায় দীর্ঘদিন ধরেই বসবাস করছে পরিচ্ছন্নকর্মীরা (সুইপার)। বর্তমানে এই পিলখানায় ৭৫ জন পরিচ্ছন্নকর্মীর পরিবার বসবাস করছে। তাদের বাসস্থানের ঠিক পেছনেই রয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার অধীনস্থ একটি জলাশয়। সম্প্রতি সেই জলাশয়টিতে মাটি ফেলে ভরাট করা হয়েছে। এতে করে পরিচ্ছন্নকর্মীদের টয়লেটসহ গোসলখানার পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। যে কারণে গত ১৫ দিন ধরেই পরিচ্ছন্নকর্মীদের (সুইপার) কলোনিতে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। প্রতিদিন যেমন নোংরা পানি মাড়িয়ে পরিচ্ছন্নকর্মীদের কর্মস্থলে যেতে হচ্ছিল তেমনি দৈনন্দিন শৌচাগার ব্যবহার ও প্রার্থনাসহ নানা কাজকর্মও বিঘ্নিত হচ্ছিল। এমনকি মন্দিরের সামনের সড়কটিও পানিতে তলিয়ে থাকায় তারা পূজোও করতে পারছিল না। এ বিষয়ে কলোনীর বাসিন্দা ঢাকা বিভাগের শ্রেষ্ঠ জয়িতার পুরস্কার প্রাপ্ত সোনু রানী দাস জানিয়েছিলেন গত ১৫ দিন ধরেই তারা নাসিকের বিভিন্ন দফতরে মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ জানালেও জলাবদ্ধতা সমস্যার কোন সমাধান হয়নি। এজন্য তারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে মেয়র ও স্থানীয় কাউন্সিলরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

গত বুধবার দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশে এ বিষয়ে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে টনক নড়ে নাসিক কর্তৃপক্ষের। বুধবার সকাল থেকে নাসিকের প্রকৌশল বিভাগের একটি টিমের তত্ত্বাবধায়নে অস্থায়ীভাবে পানি নিষ্কাশনের জন্য খনন কাজ শুরু হয়। পরে বিকাল পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে একটি নালা সৃষ্টির মাধ্যমে পানি নিষ্কাশন করা হয়। বুধবার বিকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, নাসিকের কর্মীরা মাটি খনন করে অস্থায়ীভাবে ড্রেন নির্মাণ করায় জলাবদ্ধতার পানি অনেকটাই কমে গেছে।

নাসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আজগর হোসেন জানান, বুধবার সকাল থেকে বিকাল অবধি অস্থায়ীভাবে ড্রেন নির্মাণের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা চালু করা হয়। এতে জলাবদ্ধতা অনেকটাই কমে গেছে। আশা করছি খুব শিগগিরই জলাবদ্ধতার সব পানি কমে যাবে। তবে পানি নিষ্কাশনের স্থায়ী বন্দোবস্ত করার জন্য সেখানে গভীর ড্রেন নির্মাণ করতে হবে বলেও তিনি জানান।