ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আইসিটি অধিদপ্তর-কোডার্সট্রাস্ট

যুব সমাজ ও শিক্ষার্থীদের দক্ষ করে তুলতে চুক্তি স্বাক্ষর

যুব সমাজ ও শিক্ষার্থীদের দক্ষ করে তুলতে চুক্তি স্বাক্ষর

গতকাল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের সভাকক্ষে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের স্কুল-কলেজের বেকার যুব সমাজ এবং ২০২৫ সালের মধ্যে ১০ লাখ ছাত্র-ছাত্রী, কিশোর-কিশোরীর ফ্রিল্যান্সিং, কোডিং এবং প্রোগ্রামিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্যে আইসিটি অধিদপ্তর ও আইটি প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান কোডার্সট্রাস্ট বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশ হাইটেক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়িত শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউভেশন সেন্টারগুলোর কোর্স কারিকুলাম ও প্রশিক্ষক নির্বাচনের লক্ষ্যে উক্ত প্রতিষ্ঠানের অপর একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মোস্তফা কামাল ও বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. বিকর্ণ কুমার ঘোষ এবং কোডার্সট্রাস্ট বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শামসুল হক নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন। কোডার্সট্রাস্ট বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আজিজ আহমেদ, উপদেষ্টা আবদুল করিমসহ আইসিটি বিভাগের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী সনদমুখী শিক্ষার দিকে নজর না দিয়ে কর্মমুখী শিক্ষার দিকে নজর দিতে হবে উল্লেখ করে বলেন, দেশের তরুণ-তরুনীদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ৬৪ জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে। ফ্রিল্যান্সিং, কোডিং ও প্রোগ্রামিং বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে তরুণ প্রজন্ম যাতে শ্রম ও মেধা দিয়ে বিশ্ব জয় করতে পারে সে লক্ষ্য সামনে রেখে আজকের এই চুক্তি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিগত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ নীতিতে উন্নয়নশীল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছেন। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ এই প্রযুক্তির শিল্পকে একটা শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়েছেন। তিনি বলেন ইডিসি প্রকল্পের আওতায় ৫৫৫টি জয় ডিজিটাল সার্ভিস এমপ্লমেন্ট ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করা হবে। এর ফলে কোডার্সট্রাস্ট আরো ওই সব সেন্টারে প্রশিক্ষণ প্রদানের সুবিধা পাবে।

প্রাথমিক পর্যায়ে সারা দেশের নির্বাচিত ১৩টি উপজেলায় এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হবে বলে তিনি জানান। পলক বলেন- স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট এবং স্মার্ট সোসাইটি এই চারটি মূল স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে ২০৪১ সাল নাগাদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলার আধুনিক রূপ বুদ্ধিদীপ্ত, সাশ্রয়ী, উদ্ভাবনী, জ্ঞানভিত্তিক, উচ্চ অর্থনীতির স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত