খুলনায় ঝাঁজ বাড়ছে নতুন পেঁয়াজের

প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনায় বছরের প্রথম সপ্তাহে নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক থাকলেও বেড়েছে পেঁয়াজের। এক সপ্তাহ আগে ২০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি হলেও এখন ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির সঠিক কোনো কারণ বলতে পারছে না খুচরা ব্যবসায়ীরা।

পেঁয়াজের ঝাঁজ বাড়লেও আলু এখন ব্যবসায়ীদের গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে। নতুন পুরোনো মিলিয়ে বাজার এখন আলুতে সয়লাব হয়ে গেছে। অন্যদিকে শীতের সবজির দাম ক্রমাগত কমেই চলেছে। দশ টাকায় মিলছে বড় সাইজের ফুলকপি, বাঁধাকপি আর লাল শাকসহ বিভিন্ন সবজি।

গতকাল শনিবার খুলনা মহানগরীর টুটপাড়া জোড়াকল বাজার, মিস্ত্রিপাড়া বাজার, চানমারী বাজার, রূপসা বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। নগরীর মিস্ত্রিপাড়া বাজারের এক সবজি বিক্রেতা জানান, সকালের দিকে ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা ও শিম বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি দরে। বেগুন ৩০ টাকা, বরবটি ৩০, কাঁচামরিচ ৬০-৮০, লালশাক আঁটি ১০, লাউ শাক ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দুপুর গড়িয়ে গেলে এ দাম অর্ধেকে নেমে আসছে। এ বাজারের এক আলু বিক্রেতা বলেন, বাজার এখন আলুতে সয়লাব হয়ে গেছে। শীতের সবজির দাম যেমন কমছে আলুর দামও তেমন কমছে। এখন ২০ টাকায় এক কেজি আলু পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু কোনো কারণ ছাড়া বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। গত সপ্তাহে আমরা পেঁয়াজ বিক্রি করেছি ৫-৬ কেজি একশত টাকা দরে। আজ বিক্রি করতে হচ্ছে আড়াই কেজি অথবা তিন কেজি একশত টাকায়।

পেঁয়াজের দাম হঠাৎ বেড়ে গেল কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, বাজারে গেলে আমাদের মতো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কেউ কথা বলতে চায় না। দুইয়েক বস্তা মাল নেয়ার কারণে বড় ব্যবসায়ীদের (পাইকারদের) সঙ্গে কথাও বলা যায় না। তারা যে দাম বলে সেই দামে মাল কিনে নিয়ে চলে আসি। ফলে পেঁয়াজের দাম হঠাৎ কেনো বেড়েছে তা বলতে পারব না।

নগরীর বড় বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী হালিমা ভাণ্ডারের মালিক বলেন, শীত বেড়ে যাওয়ায় উত্তরবঙ্গ থেকে সময়মতো পেঁয়াজ আসছে না। হয়তো এ কারণে দাম একটু বাড়তে পারে। অপর ব্যবসায়ী বলেন, প্রচণ্ড শীত পড়েছে তাই ক্ষেত থেকে পেঁয়াজ উঠছে কম, এটুকুই শুধু শুনেছি। এর বেশি কিছু জানি না। তবে এতে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির তেমন কিছু দেখি না।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ দপ্তর খুলনার উপ-পরিচালক শিকদার শাহিনুল আলম বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং করে চলেছি। অভিযোগ পেলে সেখানে আগে যাওয়ার চেষ্টা করছি। বাজারে এখন প্রায় সব পণ্যের দাম সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে।