১৯তম এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীর সমাপনী অনুষ্ঠান

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে মাসব্যাপী ১৯তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশ ২০২২-এর সমাপনী অনুষ্ঠান গত শনিবার বিকাল ৫টায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন একাডেমির চারুকলা বিভাগের পরিচালক সৈয়দা মাহবুবা করিম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, সংস্কৃতিবিষয়ক সচিব মো. আবুল মনসুর এবং বরেণ্য শিল্পী মনিরুল ইসলাম ও শাহাবুদ্দিন আহমেদ। আলোচনার পর অংশগ্রহণকারী শিল্পীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ ও আলোকচিত্র ধারণ করা হয়। দ্বিতীয় পর্বে অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক পরিবেশনার শুরুতেই অংশগ্রহণকারী ১১৪টি দেশের পতাকা নিয়ে প্রদর্শীত হয় কোরিওগ্রাফি। মেহরাজ হক তোষারের কোরিওগ্রাফির ভাবনা ও পরিকল্পনায় ছিলেন লিয়াকত আলী লাকী। কোরিওগ্রাফি পরিবেশন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রতিশ্রুতি নৃত্যশিল্পীদল ও শিশু নৃত্যশিল্পীদল। লিয়াকত আলী লাকীর ভাবনা ও পরিকল্পনায় পরিবেশিত হয় সমবেত নৃত্য ‘রোহিঙ্গানামা’; ‘অবহেলার মৃত্যু আর নয়’ এবং ‘প্রত্যয় হাতে হাতে’। রীতা নাহারের গ্রন্থনা, অমিত চৌধুরীর কোরিওগ্রাফি এবং একাডেমির নৃত্যশিল্পীদের পরিবেশনায় ‘রোহিঙ্গানামা’; আরিফুল ইসলাম অর্নবের কোরিওগ্রাফিতে ‘অবহেলার মৃত্যু আর নয়’ এবং মেহরাজ হক তোষারের কোরিওগ্রাফি এবং একাডেমির প্রতিশ্রুতি নৃত্যশিল্পীদল, একাডেমির শিশু নৃত্যশিল্পীদল ও একাডেমির নৃত্যশিল্পীদের সমন্বয়ে পরিবেশিত হয় ‘প্রত্যয় হাতে হাতে’। সমাপনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দিলরুবা সাথী এবং সহযোগিতায় ছিলেন আব্দুল্লাহ বিপ্লব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি বিগত ৪০ বছর ধরে এশিয়ার সর্ববৃহৎ শিল্পযজ্ঞ এশিয়ান আর্ট বিয়েনাল আয়োজন করে আসছে। এবার বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশসহ ১১৪টি দেশ অংশগ্রহণ করেছে। গত ৮ ডিসেম্বর প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।