চট্টগ্রামের ভুজপুর থেকে ৮ম শ্রেণির ছাত্রী অপহরণ, আটক ৩

প্রকাশ : ১০ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

অপহৃত ভিকটিমের বয়স ১২ বছর এবং চট্টগ্রাম জেলার ভুজপুর থানাধীন একটি স্কুলে ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া একজন ছাত্রী। গত প্রায় ৮ মাস আগে আসামি রুয়েল আহমেদ (২১) সঙ্গে টিকটকের মাধ্যমে ভিকটিমের পরিচয় হয়। ওই পরিচয়ের সূত্র ধরে রুয়েল আহমেদ বিভিন্ন সময় ভিকটিমকে মোবাইলের মাধ্যমে উত্ত্যক্ত করত এবং প্রেমের প্রস্তাব দিত। গত তিন মাস আগে রুয়েল আহমেদ তার নিজ বাড়ী সুনামগঞ্জ হতে চট্টগ্রামের পতেংগায় তার বন্ধু অনিকের বাসায় চলে আসে এবং অনিয়মিতভাবে বিভিন্ন গার্মেন্টে চাকরি শুরু করে। গত ৪ জানুয়ারি ভিকটিম স্কুলে যাওয়ার পথে ভুজপুর থানাধীন হেয়াকো এলাকা হতে আসামি রুয়েল আহমেদ তার অপর ২ জন সহযোগীসহ ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফুঁসলিয়ে জোরপূর্বক অপহরণ করে সিএনজি গাড়িযোগে চট্টগ্রাম মহানগরের পতেঙ্গা থানাধীন পূর্বকাঠঘর এলাকায় অনিকের ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়।

পরবর্তীতে ভিকটিম স্কুল থেকে সময়মত বাড়ি ফিরে না আসায় ভিকটিমের মা-বাবা সারাদিন খোঁজাখুঁজি করে কোথাও না পেয়ে ধারণা হয় যে, তাদের মেয়েকে কে বা কারা জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা চট্টগ্রামের ভুজপুর থানাধীন দাঁতমারা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে একটি জিডি করেন এবং বিষয়টি র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামকে অবহিত করেন।

র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম ভিকটিমকে উদ্ধার এবং অপহরণের সঙ্গে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৮ জানুয়ারি চট্টগ্রাম জেলার পতেঙ্গা থানাধীন পূর্বকাঠঘর এলাকার একটি ভাড়াঘর হতে ভিকটিমকে উদ্ধার করে এবং অপহরণের সাথে জড়িত আসামি রুয়েল আহমেদ (২১), মো. অনিক (২০) এবং ইমন মিয়াকে (১৮) গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক আসামিরা বর্ণিত অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার সত্যতা স্বীকার করে। পরবর্তীতে গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলার ভুজপুর থানায় একটি মামলা করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।