ডিএসসিসি-ডিএনসিসির কর্মসূচি পালন

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে গতকাল সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ফিরে না পেলে স্বাধীনতা পূর্ণতা পেত না।

ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, জাতির পিতা ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশের মাটিতে যদি পা না রাখতেন, তাকে যদি আমরা ফিরে না পেতাম- তাহলে বাঙালি জাতির স্বাধীনতা পূর্ণতা পেত না। বাঙালি জাতি খুবই ভাগ্যবান যে, বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর অপশাসন ও দেশবিরোধী শক্তির সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আমাদের মাঝে ফিরে এসেছিলেন। আমরা পেয়েছি স্বাধীনতার পূর্ণতা।

সাম্প্রদায়িকতা যেন মাথা চাড়া দিয়ে না ওঠে সেজন্য জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে মন্তব্য করে শেখ তাপস বলেন, দেশপ্রেমে আমাদের জাগ্রত হতে হবে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করতে হবে। যে লক্ষ্য, নীতি, আদর্শ নিয়ে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে সেটা যদি ভুলুণ্ঠিত হয়, যদি সাম্প্রদায়িকতা আবার বাংলাদেশে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে- তাহলে মুক্তিযুদ্ধের অভীষ্ট লক্ষ্যে আমরা পৌঁছাতে পারব না। এ সময় অন্যদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন ফকির, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুন নূর দুলালসহ বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের শীর্ষ স্থানীয় নেতারা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল, করপোরেশনের ২৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আনোয়ার ইকবাল এবং করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে গতকাল রাজধানীর কল্যাণপুর পোড়া বস্তিতে দিনব্যাপী ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন। জাতির পিতার ফিরে আসার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি জাতির বিজয় পূর্ণতা লাভ করে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব, অবদান ও ত্যাগের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধায় স্মরণ করতে আজকে দিনব্যাপী ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ৫১তম প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে ডিএনসিসির উদ্যোগে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) দিনব্যাপী এই ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পের আয়োজন করে। ডিএনসিসি মেয়র বলেন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের চিকিৎসা পেতে আমাদের সিরিয়াল লাগে। অথচ আজকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরাই রোগীদের কাছে চলে এসেছে চিকিৎসা দিতে। এটি বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে কল্যাণপুর বস্তির স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য উপহার। এ সময় ডিএনসিসি মেয়র বস্তিবাসীর জন্য ২০ হাজার সাবান ও ২০ হাজার মাস্ক সরবরাহের ঘোষণা দেন। মেডিক্যাল ক্যাম্পের পাশাপাশি ডিএনসিসি থেকে সাবান ও মাস্ক বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। স্বাচিপের নেতারা চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন। স্বল্প আয়ের মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিতেই এই পদক্ষেপ। স্বাচিপ মহাসচিব অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, স্বাচিপ সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, ডিএনসিসি ১১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর দেয়ান আবদুল মান্নান, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর রাজিয়া সুলতানা ইতি প্রমুখ।