ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী

চট্টগ্রামে প্রতিবন্ধীর ভিটাভূমি জোর পূর্বক দখল

চট্টগ্রামে প্রতিবন্ধীর ভিটাভূমি জোর পূর্বক দখল

চট্টগ্রামে বায়েজিদ থানা এলাকায় স্থানীয় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বৃদ্ধ প্রতিবন্ধীর পৈতৃক ভিটাভূমি জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী। গত রোববার রাতে চট্টগ্রাম নগরীর স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী বৃদ্ধ প্রতিবন্ধী মো. ইসমাইল (বালি)।

তিনি বলেন, আমি একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। ২০১২ সাল থেকে প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছি। আমার বসতঘরের সঙ্গে একটা ছোট্ট দোকান করে কোনোমতে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলাম। কিন্তু স্থানীয় সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে আমি অতিষ্ঠ। শহীদ নগরের চিহ্নিত সন্ত্রাসী সেন্টু ও তার বাহিনী আমার কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা চাইত। না দিলে মারধর করত।

ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগে আরও বলেন, হঠাৎ একদিন চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানা এলাকার পূর্ব শহীদ নগরে ভয়ংকর কিশোর গ্যাং লিডার চাপাতি সেন্টু ও ভূমিদস্যু আজিজ গং আমার কাছে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তাদের চাঁদা দিতে অপারগতা প্রাকাশ করায় আমাকে মারধর ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আমাকে ঘর থেকে জোর পূর্বক বের করে দিয়ে সেটা দখল করে নেয়। কোনো উপায় না পেয়ে সন্ত্রাসী সেন্টু ও ভূমিদস্যু আজিজের বিরুদ্ধে আদালতে গত ৫ জানুয়ারি মামলা করি। মামলা নম্বর ১৩।

ভুক্তভোগী সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকে বলেন, কিশোর গ্যাং লিডার সেন্টুর ভয়ে আমি এখন এলাকা ছেড়ে ন্যায়ের বিচারের আশায় প্রশাসনের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছি। কিন্তু কোনো সাহায্য পাচ্ছি না। এ বিষয়ে বায়েজিদ থানায় অভিযোগ করতে গেলে থানার এসআই রুপন চৌধুরী আমাকে ধমক দিয়ে বলেন চলে যাও। পুলিশ আমাকে বার বার আশ্বাস দিয়েও কোনো সাহায্য করেনি। আদালতে মামলা করায় আসামিরা আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে।

ইসমাইল বালি আরও বলেন, বায়েজিদ থানা শহীদ নগর এলাকার ভয়ংকর সন্ত্রাসী হিসেবে পত্রিকায় বিভিন্ন সময় সংবাদ হলেও প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাই আমি গণমাধ্যমের কাছে সাহায্য চাই। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আইজিপি ও পুলিশ কমিশনারের সাহায্য প্রার্থনা করছি। যাতে আমার পৈতৃক বসতভিটা ফিরে পাই। আমি এই সন্ত্রাসী ও তার সহযোগী এবং কিশোর গ্যাং হোতাদের শাস্তি দাবি করি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত