ঢাকা ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ১৩ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে শাবিপ্রবি

ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে শাবিপ্রবি

ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে গেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাস। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত ঘন কুয়াশা  ঢেকে ধরেছে প্রকৃতিকে। যারা গতকাল খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠেছেন তারা গ্রামীণ আবহের অন্যরকম এক ক্যাম্পাস উপভোগ করেছেন।

গতকাল শুক্রবার ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, চারপাশে প্রচণ্ড কুয়াশা, ভালো করে দু-চার হাত দূরের মানুষকেও দেখা যাচ্ছিল না, কুয়াশায় ঢেকে গেছে স্বচ্ছ পরিষ্কার নীল আকাশও। ক্যাম্পাসের মূল ফটক, এককিলো, গোলচত্বর, বঙ্গবন্ধু চত্বর, চেতনা-৭১, একাডেমিক ভবন, আবাসিক হলসহ পুরো শাবিপ্রবিই যেন ধূসর কুয়াশায় ছেয়ে গেছে। যারা নিত্যদিন প্রাতঃভ্রমণে বের হন, তারাও বাইরে বেরিয়ে সময় কত হলো তা ঠিক বুঝতে পারছিলেন না। বুঝাই যাচ্ছে আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়েছে। আকাশ আংশিক মেঘলা রয়েছে। সূর্যের তেজও কমেছে। দক্ষিণ-পূর্ব থেকে প্রতি ঘণ্টায় ৭ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যাচ্ছে। কনকনে হাওয়ায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। সিলেট বিভাগটি ভারতের মেঘালয়, আসাম ও শিলংয়ের কাছাকাছি হওয়ায় এখানে শীত ও কুয়াশার তীব্রতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অন্যদিকে শীতের দিনে ভ্রমণ পিপাসু শিক্ষার্থীরাও দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পর্যটন স্থানগুলোতে ভ্রমণ করে থাকেন। শীতের দিনে বন্ধুদের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা দেয়া, বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন খাবার, বারবিকিউ, পিঠা উৎসবসহ নানা ধরনের আয়োজনে সরব রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সবাই নিজেদের মতো করে শীত উপভোগ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সকালে কথা হয় লোকপ্রশাসন বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষেও এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, আজকের সকালে ক্যাম্পাসটা উপভোগ্যই মনে হয়েছে। ঘন কুয়াশা থাকলেও আবহাওয়াটা উষ্ণ রয়েছে। তাই সময়টা উপভোগ করতে সকালে ঘুম থেকে উঠেই ক্যাম্পাসের এককিলোর ওয়াকওয়েতে হাঁটতে বের হয়েছি। সকালে বের হয়ে ভালোই লাগছে। এখন পড়াশোনা শেষের দিকে, কয়েকদিন পর ক্যাম্পাস ছেড়ে যেতে হবে। তখন এসময়ের কথাগুলো বেশিই স্মরণ হবে। কথা হয় আরেক শিক্ষার্থীর সঙ্গেও। তিনি সেন্ট্রাল ফিল্ডে এসেছেন ক্রিকেট অনুশীলনে। গণমাধ্যমকে বলেন, এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চলছে, সকালে আমাদের টিমের অনুশীলন থাকায় আসতে হয়েছে। অন্যান্য দিন কুয়াশা কম ছিল, ঠান্ডা একটু কম অনুভূত হয়েছে। আজ ঠান্ডা বেশি। শীতের সকালে সবচেয়ে কষ্টদায়ক হলো সকালে ঘুম থেকে ওঠা, তবুও অনুশীলনের জন্য ঘুম ছেড়ে মাঠে চলে এসেছি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত