ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ডাবল লাইন হলে না.গঞ্জের ৮০ ভাগ মানুষ ট্রেনে যাতায়াত করবে : রেলমন্ত্রী

ডাবল লাইন হলে না.গঞ্জের ৮০ ভাগ মানুষ ট্রেনে যাতায়াত করবে : রেলমন্ত্রী

রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, আজকের পরিদর্শনের মূলে আমাদের সমন্বয়ের কিছু বিষয় ছিল। বিশেষ করে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে আমাদের কিছু জায়গা ফার্স্ট গেট থেকে স্টেশন পর্যন্ত। রেলের ডাবল লাইন যেহেতু হচ্ছে, আমাদের এখানে কিছু জায়গা শর্ট পড়ছিল। সড়কের কিছু অংশ যদি রেললাইনের দাগে আসে তাহলে এ অসুবিধাটা আর হয় না। এগুলো দেখে বাস্তবে এমন ধারণা ছিল যে রাস্তা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। মেয়রের সঙ্গে বৈঠকে আমি বলি, দুজনে মিলে সরেজমিন দেখি কতটুকু প্রভাব পড়ছে। সেটা দেখতেই আজকে এখানে আসা। রেলের প্রজেক্টের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারাও এখানে আছেন। থিওরিটিকালি নারায়ণগঞ্জ রেলস্টেশন পর্যন্ত ডাবল রেললাইন প্রকল্পের কাজটি বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। তবে পরিদর্শনকালে মেয়র নিজেও দেখে বলেছেন সড়কের কিছু অংশ ডাবল রেলের ডাবল লাইনের জন্য নিলে কোন সমস্যা হবে না। আমারও মনে হয় সেটা হবে না। এটাতে কারোই কোন অসুবিধা হচ্ছে না। মেয়র ফিজিকালি এসে যে মতামত দিয়েছেন এজন্য তাকে রেল মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বর্তমান যুগে ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা ছাড়া একটা দেশের টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। নারায়ণগঞ্জ থেকে অনেক লোক ঢাকায় আসা যাওয়া করে। এই ডাবল রেললাইন নারায়ণগঞ্জের মানুষের জন্যেই হচ্ছে। এ ডাবল লাইন হলে প্রতিদিন কমপক্ষে পঞ্চাশটি ট্রেন চলতে পারবে। এটা হয়ে গেলে নারায়ণগঞ্জের ৭০-৮০ ভাগ মানুষ ট্রেনে ঢাকায় যেতে পারবে। সব যানবাহনে ভাড়া বেড়েছে শুধু ট্রেনে ভাড়া বাড়েনি। প্রধানমন্ত্রী বার বার বলেন এটা সেবামূলক। এটা ব্যবসার জন্য না। সাধারণ মানুষের জন্য সহজ, নিরাপদ ও আরামদায়ক চলাচলের কথা চিন্তা করেই কাজ করা হচ্ছে। সেই কথা চিন্তা করে ২০১১ সাল থেকে এই সরকার আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন করে ট্রেনের নেটওয়ার্ক বাড়িয়েছে। ট্রেন নেটওয়ার্ক বাড়াতে অনেকগুলো প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এগুলো আস্তে আস্তে দৃশ্যমান হচ্ছে। ট্রেনে যোগাযোগের ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন হবে। গতকাল শনিবার দুপুরে চাষাড়া রেলস্টেশন ও নারায়ণগঞ্জ রেলস্টেশনের মধ্যবর্তী লেভেল ক্রসিং গেট টি২ এবং টি১ পর্যন্ত ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণে ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা সরেজমিন পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন রেলমন্ত্রী। পরিদর্শনের পরে দেওভোগে নাসিকের নির্মিত শেখ রাসেল নগর পার্ক পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন মন্ত্রী। পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ে ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জেলা-মহানগর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

ঢাকা নারায়ণগঞ্জ ট্রেন চলাচল বন্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, ঢাকা থেকে পদ্মা লিংক প্রোজেক্টের জন্য ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেল চলাচল বন্ধ রয়েছে। ওই প্রজেক্ট জুন মাসের মধ্যে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত পদ্মা সেতু অতিক্রম করে চলাচলের জন্য উপযোগী করতে পারবো। মূল প্রজেক্ট যশোর পর্যন্ত ২০২৪ সালের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি। ফরিদপুরে আমাদের যে পুরনো লাইন রয়েছে সেটার সঙ্গে যুক্ত করার জন্যই আমাদের ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে আমার মনে হয় এক দুই মাসের মধ্যে এ কাজ শেষ হয়ে যাবে। তখন আমরা ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে ট্রেন খুলে দিতে পারবো।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, রেলওয়ে সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা করছে। মালটিপল হাব করা হবে। চট্টগ্রামে যে পোর্ট হচ্ছে সেখান থেকেও ট্রেনে মালামাল পরিবহন করা হবে। চট্টগ্রাম থেকে এই নারায়ণগঞ্জের উপর দিয়েও ঢাকায় ট্রেন যাবে। এতে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের দূরত্ব ৯১ কিলোমিটার কমে যাবে। এখন দূরত্ব হলো ৩২১ কিলোমিটার আর তখন হবে ২৩০ কিলোমিটার।

নারায়ণগঞ্জ রেলস্টেশনের পাশে ৪ বিঘা জমিতে রেলওয়ের জমিতে কল্যাণ ট্রাস্টের নামে মার্কেট নির্মাণ করে দোকান বাণিজ্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, এগুলো কোনটিই স্থায়ী না। এগুলো আমাদের ডেভেলপমেন্টের আওতায় আসবে। নারায়ণগঞ্জের পরিবর্তন আপনারা দেখছেন। এভাবে গোটা দেশেই উন্নয়ন হচ্ছে। আপনারা নিজেরাই দেখছেন দেওভোগ শেখ রাসেল পার্কের উন্নয়নের চিত্র। মার্কেট নির্মাণের নামে বাণিজ্যের বিষয়টি আমরা দেখবো।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত