রংপুরে গরম পোশাকের দাম বৃদ্ধি বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

রংপুরে হিমেল হাওয়ার সঙ্গে দিন দিন বাড়ছে শীতের তীব্রতা। মানুষ একটু উষ্ণতার খোঁজে ছুটছেন গরম পোশাকের দোকানে। আবার কেউ আগুন জ্বালিয়ে শীত তাড়ানোর চেষ্টা করছেন। নিম্ন আয়ের মানুষ ছুটছেন পুরোনো পোশাকের দোকানে। কিন্তু এ বছর পুরোনো পোশাকের দামও বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। তাই বাধ্য হয়ে চড়া দামেই কিনছেন পুরোনো গরম পোশাক। রংপুরের স্টেশন মার্কেট, জামাল মার্কেট, আলমনগর কেজি মার্কেট, সুরভি উদ্যান ফুটপাত মার্কেটের পুরোনো পোশাকের দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায় নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের ভিড়। এ সময় দেখা যায় ক্রেতারা কেউ পোশাক পরে দেখছেন, কেউ দর কষাকষি করছেন, আবার কেউ অন্য দোকানে ছুটছেন। বিক্রেতারাও পোশাক বিক্রি করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। লাল মিয়া নামে এক ক্রেতা জানান আলমনগর কেজি মার্কেটে কম দামে ভালো কাপড় পাওয়া যায় শুনে পোশাক কিনতে আসি। কিন্তু এসে দেখি প্রত্যেক পোশাকেরই দাম বেশি। তবুও ৬০০ টাকায় একটি সোয়েটার কিনেছি। বাবুপাড়া থেকে পুরোনো পোশাক কিনতে আসা রিকশাচালক মকবুল হোসেন বলেন, ঠান্ডা এলে এ পুরোনো মার্কেট থেকে পোশাক কিনি। এ বছর পোশাকের অনেক দাম। দোকানগুলোতে ঘুরছি। যে দোকানে কম দাম পাব, সেখান থেকেই কিনব। গত বছর ২০০ টাকাতেই ভালো গরম পোশাক কিনেছিলাম, কিন্তু এ বছর ৪০০ টাকাতেও পাচ্ছি না। নিজের জন্য এবং ছেলের জন্য পোশাক নেব।

মোসলেম সরকার নামে এক ক্রেতা বলেন এ পুরোনো পোশাকের দোকানগুলোতে এর আগে কখনো এত বেশি দাম দেখিনি। ১ হাজার টাকা দিয়ে ভালো মানের দুটি পোশাক কিনতে এসেছিলাম। কিন্ত দাম বেশি হওয়ায় ৮০০ টাকা দিয়ে একটি জ্যাকেট কিনলাম। মিঠাপুকুর এলাকার খাইরুল ইসলাম বলেন, পোশাকের যা দাম, তাতে তাদের মতো গরিবের পক্ষে এবার শীতের পোশাক কেনা সম্ভব নয়। তবুও এখানে এসেছি, দেখি পরিবারের সদস্যদের জন্য কোনো পোশাক কিনতে পারি কি না।

আলমনগর কেজি মার্কেটের ব্যবসায়ী তৈয়ব হোসেন বলেন, এ পুরোনো পোশাকগুলো আমরা বিদেশ থেকে আমদানি করি। ডলারের দামও বেশি। পোশাক আনতেও আমাদের অনেক টাকা খরচ হচ্ছে। আমরা চাইলেও কম দামে পোশাক বিক্রি করতে পারছি না। গত বছরের থেকে এ বছর সব মিলেই দাম বেশিতেই বিক্রি করতে হচ্ছে। মোসাদ্দেক হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার প্রতিটি গরম পোশাকের দাম ২০০ থেকে ২৫০ টাকা বেশি। গত বছর যে সোয়েটার বিক্রি হয়েছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়, সে একই সোয়েটার এবার বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ১০০০ টাকায়। একইভাবে জ্যাকেট, ট্রাউজার, কম্বলসহ অন্যান্য গরম পোশাকের দামও বেশি। শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এখন প্রতিদিন ভালোই বিক্রি হচ্ছে। রনি হাসান নামে আরেক ব্যবসায়ী বলেন, গত বছরের ভালো পুরোনো পোশাকের গাইট ছিল ১৫ হাজার থেকে ১৮ হাজার টাকা। এ বছর সে গাইট আনতে হচ্ছে ২৫ হাজার থেকে ২৮ হাজার টাকায়।