গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘ডায়ালাইসিসের খরচ জোগানো একমাত্র ছেলেটি কারাগারে, দিশাহারা মা’ শীর্ষক সংবাদের প্রতি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ হয়।
প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়, ডায়ালাইসিস ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ করতে গিয়ে ছেলে মুস্তাকিমকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগে মামলা করে। একমাত্র ছেলে কারাগারে থাকায় এখন দিশাহারা হয়ে পড়েছেন মা কিডনি রোগী নাসরিন আক্তার। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের আইনি সহায়তায় ভুক্তভোগী মুস্তাকিম বিজ্ঞ আদালত থেকে গতকাল দুপুরে জামিন পেলেন। কমিশন মনে করে, কিডনি রোগীদের জন্য ডায়ালাইসিস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরনের মূল্য বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের বাঁচার অধিকার ক্ষুণ্ন হওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে যা মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। ডায়ালাইসিস সেবা কম খরচে কীভাবে দেয়া যায় তা পর্যালোচনা করা অত্যাবশ্যকীয়। একইভাবে এ কারণে রাস্তা অবরোধ, রোগীদের হাসপাতালের সেবা গ্রহণ ও জনসাধারণের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি কোনোটিই কাম্য নয়। ভুক্তভোগীরা যখন এ বিষয়ে প্রতিবাদ শুরু করেছিল তখনই বিষয়টির প্রতি যথাযথ গুরুত্ব প্রদান, আলোচনা ও ক্ষোভ প্রশমনের মাধ্যমে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা পরিহারের প্রচেষ্টা নেয়া সমীচীন ছিল বলে কমিশন মনে করে।
উল্লেখ্য, সরকার জনসাধারণের বৃহত্তর কল্যাণে বিবিধ স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের ব্যবস্থা নিচ্ছে।
এ অবস্থায়, সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে মানুষের চিকিৎসার অধিকার নিশ্চিত করার জন্য ওই ডায়ালাইসিসের খরচ বৃদ্ধি না করে কীভাবে চিকিৎসাসেবা প্রদান করা যায়, সে বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিশনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে গত ১১ জানুয়ারি পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
