শেষ তালিকায়ও কলেজ জোটেনি জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৯১ শিক্ষার্থীর

প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রামে একাদশে ভর্তিতে শেষ ধাপের আবেদনের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। সর্বোচ্চ জিপিএ-৫ পেয়েও ভর্তির জন্য কলেজ পায়নি ৯১ জন শিক্ষার্থী। এছাড়া শেষ ধাপের ফল প্রকাশের পর চট্টগ্রামের ৮ হাজার ৬৪২ জন শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য কোনো কলেজ পায়নি। একই সঙ্গে দ্বিতীয় পর্যায়ে মাইগ্রেশনের ফলও প্রকাশ করা হয়েছে। ৩য় পর্যায়ের ফলাফলে নতুন করে ৮ হাজার ৬ জন শিক্ষার্থী কলেজে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সর্বোচ্চ দশটি কলেজ পছন্দক্রম দিয়ে আবেদনের সুযোগ থাকলেও প্রথম পর্যায়ের আবেদনে কম সংখ্যক কলেজ পছন্দ দেয়ায় এবং বিশেষ করে শুধু প্রথম সারির কলেজগুলোই পছন্দ দেয়ায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত এসব শিক্ষার্থী কলেজ পায়নি। জানা গেছে, সর্বোচ্চ জিপিএ-৫ পাওয়া মোট ১৮ হাজার ৬৮৮ জনের মধ্যে চট্টগ্রাম বোর্ডের অধীন কলেজগুলোতে ভর্তির জন্য আবেদন করে ১৮ হাজার ৯৩ জন। এর মাঝে শেষ ধাপ পর্যন্ত ১৮ হাজার ২ জন ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছে। তবে সর্বোচ্চ জিপিএ-৫ পেয়েও ৯১ জন শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য তালিকায় কলেজ পায়নি। ৩য় পর্যায়ে মনোনীতদের ১৯ থেকে ২০ জানুয়ারির মধ্যে ভর্তি নিশ্চয়ন করতে হবে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ৩২৮ টাকা ফি পরিশোধ করে এই নিশ্চয়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। এই সময়ে ভর্তি নিশ্চয়ন না করলে মনোনয়ন ও আবেদন বাতিল হয়ে যাবে। চূড়ান্তভাবে মনোনীত শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম চলবে ২২ থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। ভর্তি কার্যক্রম শেষে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে একাদশে ক্লাস শুরু হবে।

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীন কলেজগুলোতে ভর্তির জন্য মোট আবেদনকারী ১ লাখ ২৮ হাজার ৭৬৩ জন। আবেদনকারীদের মধ্য থেকে ১ম ও ২য় তালিকায় মনোনীতদের মাঝে ভর্তির প্রাথমিক নিশ্চয়ন করে ১ লাখ ১২ হাজার ১১৫ জন। প্রকাশিত ৩য় ধাপের ফলাফলে মনোনীত হয়েছে ৮ হাজার ৬ জন। সবমিলিয়ে ১ লাখ ২০ হাজার ১২১ শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছে। এদিকে, একাদশে ভর্তিতে ৩য় বা শেষ দফায় ফল প্রকাশের পর নতুন আবেদনের সুযোগ রাখা হয়নি। অর্থাৎ কলেজ না পাওয়া এসব শিক্ষার্থীর আপাতত নতুন আবেদনের সুযোগ নেই। ফলে এখন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে এসব শিক্ষার্থীকে।

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর জাহেদুল হক গণামাধ্যমকে বলেন, মনোনীত শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম শেষে কলেজ না পাওয়া এসব শিক্ষার্থীর বিষয়ে মন্ত্রণালয় ও আন্তঃবোর্ড সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তবে মোট আবেদনকারীর তুলনায় আসন সংখ্যা বেশি থাকায় সব শিক্ষার্থীই ভর্তির সুযোগ পাবে।