ঢাকা ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৪ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নারায়ণগঞ্জে হালিম হত্যা

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সোহাগ গ্রেপ্তার

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সোহাগ গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় আলোচিত আব্দুল হালিমকে (৩০) জবাই করে হত্যা করে লাশ গুম করার ঘটনার মামলার মৃত্যুদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সোহাগকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর পুলিশের জালে ধরা পড়ল সোহাগ। গত বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার খিলগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে ফতুল্লা মডেল থানার একটি টিম সোহাগকে গ্রেপ্তার করে। সোহাগ ফতুল্লার পশ্চিম দেওভোগ পানির ট্যাঙ্কি সাউপাড়া এলাকার শাহজাহানের ছেলে। 

ঘটনার সূত্রে জানা যায়, কয়লা ব্যবসার জন্য চুক্তি ভিত্তিতে ফতুল্লার উত্তর নরসিংপুর এলাকার আফসার উদ্দিনের ছেলে আব্দুল হালিমের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা নিয়েছিল বন্ধু ইকবাল। দীর্ঘদিন ওই ব্যবসার লাভ কিংবা মূল টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো টালবাহনা করছিল। এসব কারণেই তাদের মধ্যে মনমালিন্য হয়। সেই বিরোধের জের ধরে ২০১৪ সালের ১৬ আগস্ট সন্ধ্যায় টাকা দেয়ার কথা বলে আব্দুল হালিমকে ফতুল্লার শাসনগাঁওস্থ বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় ইকবাল। সেখানে ইকবালের ছাদে হালিমকে প্রথমে ইকবাল হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে অচেতন করে। তারপর ইকবালের নেতৃত্বে কয়েকজন মিলে হালিমকে ধারালো দেশি অস্ত্র দিয়ে কেটে পাঁচ টকুরো করে লাশ গুম করে ফেলে। ঘটনার পরদিন হালিমের ছোট ভাই শামীম উদ্দিন বাদী হয়ে ইকবালের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় প্রথমে সাদেকুর রহমান গ্রেপ্তার হলে তার দেয়া তথ্যে ফতুল্লার কাশিপুর এলাকায় আবদুল হালিমের বস্তাবন্দি অবস্থায় হাত-পা বিহীন লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পর্যায়ক্রমে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে।  ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রিজাউল হক দিপু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং আদালতের তথ্য সূত্র দিয়ে তিনি জানান, ফতুল্লার উত্তর নরসিংপুর এলাকার ওয়ার্কশপ মালিক বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যার অভিযোগে চারজনকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। রায়ের পর থেকে আসামিরা পলাতক ছিল। আর মৃত্যুদণ্ড পলাতক আসামি সোহাগকে ঢাকার খিলগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। 

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত