ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রাজশাহীর জনসভায় মানুষের ঢল নামবে : মেয়র লিটন

রাজশাহীর জনসভায় মানুষের ঢল নামবে : মেয়র লিটন

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা ও সফল রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ বছর পর রাজশাহীতে আসছেন। এর আগেও তিনি এসেছেন, তবে এবারের সাড়াটা ভিন্ন রকম। কারণ হলো তিনি ইতোমধ্যে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ করে ফেলেছেন। তরুণ প্রজন্ম সেটি গ্রহণ করেছে। নারীর ক্ষমতায়ন করেছেন, নারীরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আস্থা স্থাপন করেছেন। অবকাঠামো উন্নয়নসহ দেশের সর্বক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে কথা তিনি বলেছেন, যেটি এবারের নির্বাচনের মূল প্রতিবাদ্য বিষয়, সেই স্মার্ট বাংলাদেশের কথাগুলো শোনার জন্য মানুষ জনসভায় আসতে চায়। তারা নিজের কানে শুনতে চায়, প্রধানমন্ত্রীকে নিজের চোখে দেখতে চায়, সেজন্য ব্যাপক সাড়া পড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের কথা শুনতে জনসভায় মানুষের ঢল নামবে।

আগামী ২৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজশাহীতে বিশাল জনসভা সফল করার লক্ষ্যে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য ছাত্রসমাজ ও তরুণপ্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধ করতে গতকাল বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত রাজশাহী বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজশাহী মহানগরীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান মিলনায়তনে সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। প্রধান আলোচক ছিলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার। সঞ্চালনা করেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন দৃশ্যমান হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু দিয়েছেন, মেট্রোরেলসহ ব্যাপক উন্নয়ন দিয়েছেন। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ করা হচ্ছে। সারা দেশে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। সম্প্রতি দ্বিতীয় ধাপে আরো ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বিশ্বের কোনো মুসলিম দেশে একসঙ্গে সরকার কর্তৃক এতো বেশি সংখ্যক মসজিদ নির্মাণের ইতিহাস নেই। তিনি ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে দেশে থাকার জায়গা দিয়েছেন। তাই তো তিনি মানবতার মা।

খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, এ বছর উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনের বছর। বছরব্যাপী বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করা হবে।

তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, বিএনপি যদি আবারো আগুন সন্ত্রাস করতে আসে, জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চায়, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করতে চায়, কোরআন শরীফ পোড়াতে চায়, রাস্তার গাছ কেটে ফেলতে চায়, অরাজকতা করতে চায় তাহলে তাদের সেই হাত ভেঙে দিতে হবে, সেই হাত পুড়িয়ে ফেলতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়নে আমরা প্রস্তুত আছি।

রাসিক মেয়র বলেন, ছাত্রলীগের ইতিহাস বাংলাদেশের ইতিহাস। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি থেকে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিসংগ্রাম এবং তার পরবর্তী এ পর্যন্ত যত লড়াই সংগ্রাম, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ যেকোন সংকট মোকাবিলায় ছাত্রলীগ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগের আগে ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করে।

সভা থেকে আগামী ২৯ জানুয়ারি রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় সবাইকে স্বতঃফূর্তভাবে যোগদানের আহ্বান জানান মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

সভার আলোচক রাবি উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সকল লড়াই-সংগ্রামে সঙ্গে ছিল বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের ইতিহাস ত্যাগের ইতিহাস। ছাত্রলীগের গৌরবময় ইতিহাস সমুন্নত রেখে প্রধানমন্ত্রী লক্ষ্য বাস্তবায়নে অতীতের ন্যায় আগামীতে কাজ করে যাবে।

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সর্বক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়েছে। তার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ দৃশ্যমান হয়েছে, এবার লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমাণ। সেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কাজ করবে ছাত্রলীগ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত