শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে : নৌ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ : ২৭ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

নৌ পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাড়ে তিন বছরের দেশ পরিচালনার বিস্ময়কর পথ ধরে দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। বঙ্গবন্ধুর পরেই দেশের উন্নয়নে দুর্বার গতিতে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরবর্তী জেনারেশন উন্নয়নের জন্য রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার কথা বলবে। গতকাল বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব সংস্থার ২০২২-২৩ অর্থবছরের এডিপিভুক্ত জিওবি ও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি সংক্রান্ত পর্যালোচনা বৈঠকে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী, বাংলাদেশ স্থলবন্দরের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলম সাদেক ও নৌপরিবহণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর নিজামুল হক সরাসরি এবং অন্যান্য সংস্থা প্রধানরা জুমে উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের অনেক অগ্রগতি হয়েছে; অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় দেশের উন্নয়নের অন্যতম চালিকা শক্তি। এটা শুধু মুখে নয়; হৃদয়ে ধারণ করতে হবে। উন্নয়নের অংশীদার হয়ে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় অনেক উচ্চতায় চলে গেছে; এ সম্মানকে ধরে রাখতে হবে। বৈঠকে ব্রহ্মপুত্র নদ খনন, মাতারবাড়ী সমুদ্র বন্দর নির্মাণ, পায়রা বন্দরের ফার্স্ট টার্মিনাল নির্মাণ ও আন্দারমানিক নদীর ওপর সেতু নির্মাণের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়। বৈঠকে জানানো হয়, শীঘ্রই ঢাকা-লক্ষ্মীপুর নৌপথে লঞ্চ সার্ভিস চালু এবং মার্চে ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট, মাদারীপুর শাখার উদ্বোধন করা হবে। উল্লেখ্য, নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয় ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩৫টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। এর মধ্যে ৩১টি এডিপিভূক্ত, তিনটি নিজস্ব অর্থায়নে এবং একটি স্কিম প্রকল্প। এজন্য বরাদ্দ পেয়েছে ৭,০৭৫ কোটি ৫ লাখ টাকা। এডিপিভূক্ত প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ৬,৩০২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নের জন্য বরাদ্দ ৭৭২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। এডিপিভূক্ত ৩১টি প্রকল্পের মধ্যে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ১৩টি, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের পাঁচটি, ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের একটি, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের একটি, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের একটি, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের দু’টি, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) একটি, নৌপরিবহণ অধিদপ্তরের একটি, বাংলাদেশ মেরিন একাডেমীর একটি এবং মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পাঁচটি প্রকল্প। নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন তিনটি প্রকল্পই চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের। একটি স্কিম প্রকল্প পায়রা বন্দরের। সেটি হলো পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল ও মেইনটেন্স ড্রেজিং প্রকল্প।