ডায়াবেটিস নির্মূলে ঝাড়ফুঁকের মাধ্যমে প্রতারণা

প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  বরিশাল ব্যুরো

ঝাড়ফুঁকের মাধ্যমে চিরদিনের জন্য ডায়াবেটিক রোগ নির্মূলের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন কথিত এক ভ- ফকির। কুফরীর মাধ্যমে ওই ফকিরের চিকিৎসায় উপকার না পেয়ে এক নারী শারীরিক, মানসিকসহ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে এখন নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। গতকাল রোববার সকালে নগরীর কাশিপুর এলাকার বাসিন্দা মমতাজ বেগম অভিযোগ করেন, দুই বছর আগে লোকমুখে তিনি জানতে পারেন কাউনিয়া প্রধান সড়ক সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা হেমায়েত উদ্দিন মাস্টার ঝাড়ফুঁকের মাধ্যমে চিরদিনের জন্য ডায়াবেটিক রোগ নির্মূল করেন। সেমতে, তিনি (মমতাজ) ফকির হেমায়েতের কাছে গিয়ে ডায়াবেটিকসহ পলিপাস ও পাইলস রোগের কথা জানান। এসব রোগের জন্য মমতাজ বেগমকে ফকির হেমায়েত বাইরের চিকিৎসা নিতে বারণ করেন। পরবর্তীতে তিনি (হেমায়েত) একেক সময় চা, শরবত ও ডাবের পানি পান করিয়ে চিকিৎসা দিতে থাকেন। মমতাজ বেগম বলেন, গত দুই বছরে দফায় দফায় আমার কাছ থেকে নগদ দুই লাখ টাকাসহ প্রায় ছয় লাখ টাকার মালামাল নিয়েছে ফকির হেমায়েত। তারপরেও আমি রোগ থেকে মুক্ত হতে পারিনি। পরবর্তীতে উপায়ান্তর না পেয়ে ফকির হেমায়েতকে দেয়া নগদ টাকা ফেরত চাইলে তিনি চিরতরে মুক্তি পেতে আমার কাছে উল্টো আরো ১৫ লাখ টাকা দাবি করেন। নয়তো এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করা হলে কুফরীর মাধ্যমে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের ক্ষতি করার হুমকি প্রদর্শন করেন। পুরো ঘটনা উল্লেখ করে ভ- ফকির হেমায়েত উদ্দিন মাস্টারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে ভুক্তভোগী মমতাজ বেগম বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অভিযুক্ত ফকির হেমায়েত উদ্দিন মাস্টার বলেন, মানত করা বাবদ মমতাজ বেগম তাকে কিছু টাকা দিয়েছেন। এর বইরে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি দুপুরে ভুক্তভোগী মমতাজ বেগম পুরো ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনও করেন।