মহাকাশ গবেষণায় স্পারসোর সঙ্গে এটুআইয়ের চুক্তি

প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

মহাকাশ গবেষণায় এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রোগ্রাম এবং বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের (স্পারসো) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে।

গতকাল সোমবার বিকালে রাজধানীর আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি অডিটরিয়ামে প্রতিষ্ঠান দুটির মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এটুআই’র প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর এবং স্পারসো’র চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মো. আব্দুস সামাদ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন। সমঝোতা স্মারকের আওতায় খসড়া কৌশলপত্র তৈরি, কৌশলপত্রের আলোকে কারিগরি প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে ফিজিবিলিটি স্টাডি ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে স্পারসোর দীর্ঘমেয়াদি রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হবে। স্পারসো ও এটুআই উভয় প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/এজেন্সি/ইনস্টিটিউট/ সংস্থার জন্য স্পারসো কর্তৃক প্রয়োজনীয় গবেষণা কার্যক্রমের চাহিদা নিরূপণ করবে এবং গবেষণালব্ধ ফলাফল/আউটপুট প্রচার করবে। উভয় প্রতিষ্ঠান মহাকাশ গবেষণালব্ধ উপাত্ত হতে সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করে যে ধরনের সম্ভাবনা ও সুযোগ তৈরি হতে পারে তা অন্বেষণ করবে। স্পারসো’র কর্মকর্তাদের জন্য এটুআই স্থানীয় বা আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ গ্রহণে সহায়তা করবে। এছাড়া, নিজেদের ল্যাবরেটরি, লজিস্টিক সুবিধা, লাইব্রেরি ইত্যাদি ব্যবহারে স্পারসো এবং এটুআই পারস্পরিক সহায়তা করবে। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মহাকাশ ও দূর অনুধাবন প্রযুক্তি, জ্ঞান, অবকাঠামো এবং এগুলোর শান্তিপূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে। এর মাধ্যমে উভয় পক্ষ স্পেস এবং রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এর যথাযথ প্রয়োগ ও সম্ভাবনা তৈরি করবে। এই ধরনের প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের সমসাময়িক এবং ভবিষ্যতে সম্ভাব্য সমস্যাগুলো কীভাবে সমাধান করা যায়, সে বিষয়ে যৌথভাবে গবেষণা কার্যক্রম সম্পাদন করা সম্ভব হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, এখন থেকে মহাকাশ গবেষণায় কাজ করবে এটুআই ও স্পারসো। এসব তথ্য বিভিন্ন গবেষণায় কাজে লাগবে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, শিল্প ও কৃষিতে এসব তথ্য কাজে লাগবে। গবেষণা ও উদ্ভাবনের ফলে নতুন যে তথ্য পাব, তা কাজে লাগানোর চেষ্টা করব। পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সৎ সাহসী পদক্ষেপের কারণে ডিজিটাল বাংলাদেশ সম্ভব হয়েছে। তিনি ৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকল্প দিয়েছেন। সেজন্য আমাদের সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে গবেষণায়। উদ্ভাবন, আবিষ্কার ও গবেষণায় গুরুত্ব দিতে হবে। নতুন উদ্ভাবন দিয়ে অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, এজেন্সি টু ইনোভেট অল্প কিছু দিনের মধ্যে ইনোভেট প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে পারব।