ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মানবাধিকার কমিশনের সহায়তা চাইলেন বৈষম্যের শিকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা

মানবাধিকার কমিশনের সহায়তা চাইলেন বৈষম্যের শিকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা

‘শত প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরও এবং সরকারি চাকরিতে ১০% প্রতিবন্ধী কোটা সংরক্ষিত থাকলেও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের চাকরি থেকে বঞ্চিত করার বিষয়টি বৈষম্যের জন্ম দেয় যা সংবিধান পরিপন্থি ও মানবাধিকার লঙ্ঘন।’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০২০ সালের বিজ্ঞপ্তির লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রতিবন্ধী চাকরিপ্রত্যাশীরা গতকাল ২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের সাথে সাক্ষাৎ করতে এলে এসব কথা বলেন ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের মধ্য থেকে কামাল হোসেন পিয়াস কমিশন চেয়ারম্যানকে জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগের ফলাফল গত ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত হয়। ৩৭ হাজার ৫৭৪ প্রার্থীকে সহকারী শিক্ষক পদে নির্বাচন করা হয়। এই নিয়োগে নারী ও পোষ্য কোটা থাকলেও প্রতিবন্ধীদের জন্য কোনো কোটা রাখা হয়নি। চাকরিপ্রত্যাশী আরেকজন সাজ্জাদ হোসেন সাজু জানান, বাংলাদেশের সংবিধানে প্রতিবন্ধীদের মতো পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীদের জন্য রাষ্ট্র বিশেষ ব্যবস্থা নিতে পারবে- মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবন্ধী হওয়ায় সমাজের সুস্থ মানুষের মতো সহজ জীবনযাপন তাদের পক্ষে সম্ভব নয়, অনেক প্রতিকূলতা পেরিয়ে তারা উচ্চশিক্ষা অর্জন করেন। এরপরও যদি তারা চাকরির সুযোগ না পান, তবে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে তারা আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে এবং হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়বেন। এমতাবস্থায় প্রতিবন্ধী কোটায় চাকরির সুযোগ প্রদানের জন্য দাবি জানান তারা। কমিশনের চেয়ারম্যান তাদের বক্তব্য অত্যন্ত সহানুভূতির সাথে শোনেন, তাদের এমন পরিস্থিতির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং তাদের সমবেদনা জানান। তিনি বলেন, প্রতিবন্ধীরা যাতে বৈষম্যের শিকার না হয় এবং কোনোরকম ভোগান্তিতে না পড়েন, সেটাই কমিশন প্রত্যাশা করে। তাদের অভিযোগের বিষয়ে কমিশন যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে কমিশনের চেয়ারম্যান তাদের আশ্বস্ত করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত