জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ও ফিজিক্যাল মাস্টারপ্ল্যানের সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশ : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ও ফিজিক্যাল মাস্টার প্ল্যানের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) গাজীপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে অ্যাকাডেমিক ভবনে সিনেট হলে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে অ্যাকাডেমিক ও ফিজিক্যাল মাস্টার প্ল্যানের সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্যরা এই সভায় উপস্থিত থেকে তাদের গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ প্রদান করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘দেশের উচ্চশিক্ষায় গুণগত মান নিশ্চিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তারা ইতোমধ্যে অ্যাকাডেমিক ও ফিজিক্যাল মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করেছে। এটি বর্তমান সময়ের চাহিদার আলোকে প্রণয়ন করা হয়েছে। এর ফলে উচ্চশিক্ষায় ব্যাপক পরিবর্তন নিশ্চিত হবে। আউট কাম বেইজড এডুকেশনকে মাথায় রেখে দেশে-বিদেশে জব মার্কেট বিশ্লেষণ করেই এই অ্যাকাডেমিক ও ফিজিক্যাল মাস্টার প্ল্যান করা হয়েছে। বর্তমান সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভাষা আমাদের জানতেই হবে। সেটি বাংলা এবং ইংরেজি- দুটোই। আইসিটি দক্ষতা এখন লিটারেসির পার্ট হয়ে গেছে। আইসিটি না জানলে ইললিটারেট থেকে যাব। ভাষা, আইসিটি, সফট স্কিল এবং অন্ট্রাপ্রেনারশিপ- এগুলো এখন সবাইকে জানতে হবে। কমিউনিকেশন স্কিল, ক্রিটিক্যাল থিংকিং স্কিল- এগুলো জানতেই হবে। বিদেশে সফ্ট স্কিল স্কুল কলেজ থেকেই শেখানো হয়। আমাদের এখানে শেখানো হয় না।’ দেশে-বিদেশে সবাইকে চাকরি দেয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয় উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদেরকে আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। কে হাস-মুরগি পালবে আর কে ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট হবে সেটা ভিন্ন কথা। কিন্তু অন্ট্রাপেনারশিপ স্কিল শিখতেই হবে। আমি যদি ঘরকন্যাও করি তাতেও আমার কাজে লাগবে। সেজন্যই আমি মনে করি ভাষা, আইসিটি, সফটস্কিল এবং অন্ট্রাপ্রেনারশিপ এবং মূল্যবোধ- প্রতিটি শিক্ষার্থীর অবশ্য অবশ্য শেখা দরকার। সে কারণেই এমভেডেড কোর্স হিসেবে শর্ট কোর্স চালু করতে যাচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সবমিলিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এখন স্টাবল অবস্থানে আছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রবল সম্ভাবনা নিয়ে এগোচ্ছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশি মনোযোগ দেয়ার কারণ হচ্ছে- উচ্চশিক্ষার ৭০ শতাংশ এই বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গুণগত মান উন্নয়ন হলে সারা দেশের উচ্চশিক্ষায় ব্যাপক পরিবর্তন আসবে।

সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে বদ্ধপরিকর। শিক্ষার্থীদের আধুনিক সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যা যা করা দরকার তার সবটুকু করবে এই বিশ্ববিদ্যালয়। আমরা শিক্ষার্থীদের সামনে ১২টি পিজিডি কোর্স এবং ১৯টি কর্মমুখী শর্ট কোর্স প্রবর্তন করতে যাচ্ছি। এর ফলে শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন সূচিত হবে বলে মনে করি।

অ্যাকাডেমিক মাস্টার প্ল্যানের সভায় গুরুত্বপূর্ণ মতামত ব্যক্ত করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ, সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. আবদুল মমিন চৌধুরী, সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মোফাখ্খারুল ইসলাম, সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. দুর্গাদাস ভট্টাচার্য, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আনোয়ার হোসেন, এফবিসিসিআইয়ের প্রতিনিধি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মুনাজ আহমেদ নূর, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ, ট্রেজারার প্রফেসর আবদুস সালাম হাওলাদার প্রমুখ।