বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু চৌধুরী বলেছেন, টাকা ছাপিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে শেখ হাসিনার অবৈধ সরকার। গত দুই মাসে তারা পঞ্চাশ হাজার কোটি নতুন টাকা ছাপিয়েছে। এটা অব্যাহতভাবে চলতে পারে না। দেশের শিক্ষা ও সংস্কৃতি ধ্বংস করে দিয়েছে তারা। গত কয়েক বছরে দশ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে আওয়ামী লীগ। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হলে রাস্তায় আন্দোলন করে এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করতে হবে। গতকাল শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় ময়মনসিংহ নগরীর পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট মাঠে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে তিনি বলেন, আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি সারা দেশের প্রত্যেক ইউনিয়নে পদযাত্রা কর্মসূচি পালিত হবে। আর এভাবেই ইউনিয়ন থেকে শুরু করে সরকার পতনের শেষ সংগ্রামে জনগণকে সম্পৃক্ত করে শেখ হাসিনাকে বিদায় করা হবে।
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে ভয় পান না। তিনি ভয় পায় নির্বাচনকে। আর এ কারণেই তিনি নির্বাচন নিয়ে উপহাস করছেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সদ্য সংসদ থেকে পদত্যাগকারী এমপি হারুন অর রশিদ বলেন, উপনির্বাচনে হিরো আলম সরকারকে উলঙ্গ করে দিয়েছে। এই সরকার জালিম ও মুনাফেক সরকার।
গ্যাস, বিদ্যুৎসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানো, বেগম খালেদা জিয়াসহ নেতাকর্মীদের মুক্তি, গণবিরোধী সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে এই সমাবেশ করে ময়মনসিংহ বিভাগীয় বিএনপি। এতে সভাপতি ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক একেএম শফিকুল ইসলাম। এ সময় সমাবেশটি যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন বাবলু ও উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ওয়ারেস আলী মামুন ও শরীফুল আলম। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, আব্দুল বারী ড্যানী, সাবেক মন্ত্রী সিরাজুল আলম খান, সাবেক এমপি নিলুফার চৌধুরী মনি ও শাহ শহীদ সারোয়ার, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. মাহাবুবুর রহমান লিটন, যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর মাহমুদ আলম, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী, উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালাম প্রমুখ।
