ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চিকিৎসাসেবায় মাইলফলক : সফলতা অর্জন এভারকেয়ার হাসপাতালের

চিকিৎসাসেবায় মাইলফলক : সফলতা অর্জন এভারকেয়ার হাসপাতালের

বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সর্ববৃহৎ হাসপাতাল এভারকেয়ার হাসপাতাল আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, চিকিৎসাসেবার অনেক ক্ষেত্রে মাইলফলক সফলতা অর্জন করেছে হাসপাতালটি। বিশ্বমানের সব ধরনের চিকিৎসাসেবা মিলছে চট্টগ্রামের এই হাসপাতালটিতে। ‘কেন চট্টগ্রাম থেকে রোগীরা চিকিৎসাসেবার জন্য বিদেশে যাচ্ছে?’ শীর্ষক এ গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গত রোববার বন্দরনগরীর এভারকেয়ার হাসপাতালের অডিটোরিয়ামে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে বিদেশে চিকিৎসা নিতে গিয়ে রোগীদের যেসব প্রতিবন্ধকতা ও ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হয় তা নিয়ে আলোচনা করেন হাসপাতালের বিশেষজ্ঞা চিকিৎসক, ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এবং বিশিষ্ট গণমাধ্যম কর্মীরা।

চট্টগ্রামে এভারকেয়ার হাসপাতালের যাত্রা শুরুর পর থেকেই চিকিৎসাসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে চট্টগ্রামে নিজেদের অগ্রগামী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে হাসপাতালটি। হাসপাতালটি এরইমধ্যে প্রথমবারের মতো অ্যাওয়েক ক্যানিওটোমি সার্জারি, বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন, বাইল্যাটেরাল নী রিপ্লেসমেন্ট সারি, বোটক্স ব্যবহার করে সার্ভিকাল ডিসটোনিয়া, স্ট্রোক প্রোথলোসিস প্রসিডিওর, রেইন টিউমার রিমুভ্যাল সার্জারি, থোরাসিক এন্ডোভাসক্যুলার অ্যারোটিক রিপেয়ার (টি.ইভিএআর) প্রসিডিওর, ভাটিব্র জোড়া লাগানোর ক্ষেত্রে এমআইএস (মিনিম্যালি ইনভ্যাসিভ সার্জারি) এবং পেডিয়াট্রিক কার্ডিওলজি প্রসিডিওরসহ বেশকিছু মাইলফলক সফলতা অর্জন করেছে।

এভারকেয়ার হাসপাতাল চট্টগ্রামের চিফ অপারেটিং অফিসার সামির সিং বলেন, যারা দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে যান তাদের ভাষাসংক্রান্ত জটিলতা, অপরিচিত স্বাস্থ্যসেবা প্রদান ব্যবস্থা, দীর্ঘ অপেক্ষা এবং মাত্রাতিরিক্ত খরচসহ নানা ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হয়। এছাড়া, নিজের বাড়ি ও প্রিয় মানুষদের কাছ থেকে এতো দূরে অবস্থান করার কারণে অতিরিক্ত চাপ তৈরির ফলে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন অনেকেই। আর চিকিৎসার ফলো-আপের জন্য বারবার আসা যাওয়ার ঝামেলা তো আছেই। সেইসঙ্গে আছে মেডিক্যাল ভিসা পাওয়ার অনিশ্চয়তা, ভিসার জন্য দীর্ঘ সময়ের অপেক্ষা এবং রোগীর সঙ্গে যিনি থাকবেন তার কাজ থেকে ছুটি নেয়াসহ নানা ঝামেলা।

মেডিক্যাল সার্ভিসেসের ডিরেক্টর ডা. দীপক সিং বলেন, এভারকেয়ার হাসপাতাল তাদের অত্যাধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা এবং দক্ষ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের মাধ্যমে চট্টগ্রামবাসীকে সর্বোচ্চ মানের সেবা দিয়ে যাচ্ছে, যার ফলে বিদেশ গিয়ে চিকিৎসা নেয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। আমাদের আজকের এই আলোচনার উদ্দেশ্য হলো চট্টগ্রামে বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা প্রাপ্তির বিষয়টি মানুষকে জানানো এবং দেশে চিকিৎসা নেয়া সুফলগুলো তুলে ধরা।

সিনিয়র কনসালটেন্ট, জেনারেল অ্যান্ড ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারি ডা. মো. সুরমান আলী বলেন, এভারকেয়ার হাসপাতাল চট্টগ্রামবাসীকে সর্বোচ্চ মানের স্বাস্থ্যসেবা দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ।

আলোচনায় চিকিৎসাসেবায় সর্বশেষ অগ্রগতি, বিদেশের তুলনায় এভারকেয়ারে কম খরচে চিকিৎসা এবং বিদেশে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করতে গিয়ে রোগীদের নানা ভোগান্তিসহ বেশকিছু বিষয় উঠে আসে।

এভারকেয়ার গ্রুপ বিশ্বাস করে যে, স্বাস্থ্যসেবা একটি মৌলিক অধিকার। উদীয়মান বাজারে বিনিয়োগের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের চাহিদা পূরণে প্রাইভেট ও মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ প্রতিষ্ঠানটি। টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের দ্রুত সমর্থক হিসেবে উদীয়মান বাজারে বসবাসরত সব বয়সের মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জে সাড়া দিয়েছে এভারকেয়ার। সেই সুবাদে প্রতিষ্ঠানটি প্রচলিত স্বাস্থ্যসেবার ধারা পরিবর্তন ও রূপান্তরকরণের মাধ্যমে, রুম কন্টিনেন্টস প্ল্যাটফর্মের সমন্বয়ে উন্নত ও মানসম্মত মেডিক্যাল সেবা সরবরাহ করছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত