‘উন্নয়নে বাংলাদেশ একের পর এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে’

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে দক্ষতার সঙ্গে দেশ চালাচ্ছেন, তাতে আমরা সবাই যদি তার কথা মেনে চলি- তাহলে ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতে আমাদের হতাশ হবার কিছু নেই।

তিনি বলেন, নিজেদের টাকায় আমরা বিশ্বের বিস্ময় পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে পেরেছি। কিছুদিন আগে মেট্রোরেলের উদ্বোধন হয়েছে। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ। আগামী দুই-এক মাসের মধ্যে এই টানেলের উদ্বোধন হবে। দক্ষিণ এশিয়ায় নদীর নিচ দিয়ে কোনো টানেল নেই। যেটি বাংলাদেশে হয়েছে। ঈশ্বরদীর রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে। এই রকম অসংখ্য দৃষ্টান্ত বাংলাদেশে একের পর এক হচ্ছে। গতকাল রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা-২০২৩ এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাসিক মেয়র বলেন, বর্তমান সরকার পুঁথিগত শিক্ষার পাশাপাশি হাতে-কলমে শিক্ষা প্রদানে গুরুত্বারোপ করেছে। পুঁথিগত শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হলে কাজের সুযোগ বেশি পাওয়া যায়। তিনি আরও বলেন, বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় আমরা ভালো আছি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে, ডলার সংকট ইত্যাদি। এসবের আঘাত বাংলাদেশেও পড়েছে। কিন্তু আমরা থেমে যাইনি। দুর্ভিক্ষ আসেনি। ইনশাআল্লাহ আসবেও না।

মেয়র আরও বলেন, আমি নিজেও রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র ছিলাম। আমার পিতা শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান এই স্কুলের ছাত্র ছিলেন। এই স্কুলে আমার স্মৃতি ছড়িয়ে রয়েছে। প্রায় ২০০ বছরের প্রাচীন এই স্কুলের কৃতি শিক্ষার্থীরা দেশ ও দেশের বাইরে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। এটি আমাদের জন্য গর্বের।

অনুষ্ঠানে বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণের পাশাপাশি আব্দুল মতিন মেধাবৃত্তি, সতীর্থ ৭৪ বৃত্তি, আসফিয়া আজফার বৃত্তি, ফজলার রহমান মেমোরিয়াল বৃত্তি প্রদান করা হয়।

রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক ড. নুরজাহান বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সতীর্থ-৭৪ সভাপতি প্রকৌশলী একেএম খাদেমুল ইসলাম ফিকশন। অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-অভিভাবকসহ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।