ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

খালপাড়ের অবৈধ স্থাপনা সরাতে ডিএনসিসি মেয়রের হুঁশিয়ারি

খালপাড়ের অবৈধ স্থাপনা সরাতে ডিএনসিসি মেয়রের হুঁশিয়ারি

মোহাম্মদপুরের লাউতলা-রামচন্দ্রপুর খালপাড়ের অবৈধ স্থাপনা পনেরো দিনের মধ্যে সরাতে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। মেয়র বলেন, খালের সীমানা নির্ধারণ করে পিলার বসানো হয়েছে। যে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে খালের পাড়ে এই সীমানার বাইরেও তারা অবৈধভাবে স্থাপনা করছে। তাদের আমি বলেছি খালের পাড়ের অবৈধ স্থাপনা আগামী পনেরো দিনের মধ্যে নিজ দায়িত্বে আপনারা সরিয়ে নিবেন। নিজেরা অবৈধ স্থাপনা না সরালে আমরা বুলডোজার দিয়ে সেই স্থাপনা ভেঙে দেব। আজকে আমরা ভাঙতাম যেহেতু তারা বলেছেন ভেতরে প্রচুর পশু রয়েছে এ পশুদের সরানো চ্যালেঞ্জিং হবে। পশুগুলোও আমাদের সম্পদ তাই এর ক্ষতি করা ঠিক হবে না। আমি তাদের পনেরো দিন সময় দিয়েছি। এর পরে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিব। গতকাল বুধবার দুপুরে ৩৩ ও ৩৪নং ওয়ার্ডের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন।

মেয়র বলেন, ৩৩নং ওয়ার্ডে অনেকে গরুর খামারি ব্যবসা করছে। কিন্তু দুঃখজনক হলো খামারগুলোর গো-বর্জ্যসহ অন্যান্য সব বর্জ্য খালে ফেলা হচ্ছে। আপনারা দেখেছেন খালটি উদ্ধারের পর আমি গত বছর এই রামচন্দ্রপুর খাল পরিষ্কার করে দিয়েছিলাম। এটি আবার গো-বর্জ্য এবং অন্যান্য বর্জ্যে ভর্তি হয়ে গেছে। ওনারা মনে করেছেন এরকম ভাবেই চলবে। আমার মনে হয় যারা ব্যবসা করবেন তাদের অবশ্যই পরিবেশকে মাথায় রেখে ব্যবসা করতে হবে।

মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম মোহাম্মদপুরের চন্দ্রিমা হাউজিং, বসিলা গার্ডেন সিটি, দয়াল হাউজিং এলাকায় কয়েকটি খামার পরিদর্শন করেন। খামারের সব বর্জ্য খালে ফেলে পানি দূষণ ও পরিবেশের ক্ষতি করায় একটি খামারকে মেয়রের উপস্থিতিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, রাজধানীর বায়ুদূষণের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী ঢাকার আশপাশের ইটভাটা। গবেষণা অনুসারে শুষ্ক মৌসুমে ঢাকা শহরের বায়ুদূষণের জন্য ইটভাটা ৫৮ শতাংশ দায়ী। এছাড়া সড়ক ও মাটি থেকে সৃষ্ট ধুলা দ্বারা ১৮ শতাংশ, যানবাহনের জন্য ১০ শতাংশ, বিভিন্ন জিনিসপত্র পোড়ানোর জন্য ৮ শতাংশ ও অন্যান্য কারণে ৬ শতাংশ বায়ু দূষিত হচ্ছে।

পরিদর্শন শেষে ৩৩ ও ৩৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সুযোগ-সুবিধার কথা ও সমস্যা জানতে স্থানীয় জনগণকে নিয়ে বসিলা কমিউনিটি সেন্টারে একটি মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। মতবিনিময় সভায় রাস্তা প্রশস্ত করার জন্য নগরবাসীকে প্রয়োজনীয় জায়গা ছেড়ে দেয়ার আহ্বান জানান মেয়র।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. সাদেক খান, ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর এসএম শরিফ-উল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মাহে আলম, অঞ্চল-০৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ৩৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আসিফ আহমেদ, ৩৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মদ হোসেন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর রোকসানা আলম প্রমুখ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত