মশলা আমাদের দেশের ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িত : কৃষি সচিব

প্রকাশ : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেছেন, আমাদের দেশের ঐতিহ্যের সঙ্গে মশলা জড়িত। আমদানিনির্ভরতা কমিয়ে দানাজাতীয় ও শাকসবজি ফলমূল জাতীয় ফসলের পাশাপাশি মশলা জাতীয় ফসলের উৎপাদন বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, মশলা জাতীয় ফসল চাষে লাভবান হলেই কৃষকরা ধান জাতীয় ফসলের রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে এটি চাষ করবে। আমাদের দেশের গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে মশলার উন্নত মানের আমাদের দেশের আবহাওয়া উপযোগী জাত আবিষ্কৃত হয়েছে। এগুলো সম্প্রসারণের মাধ্যমে উৎপাদন করে আমাদের দেশের নিজস্ব চাহিদা পূরণে সচেষ্ট হতে হবে। গতকাল বুধবার রাজধানীর আ কা মু গিয়াস উদ্দীন মিলকী অডিটরিয়ামে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ‘মশলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্প’ আয়োজিত ‘অবহিতকরণ কর্মশালা-২০২৩’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সচিব একথা বলেন। কৃষি সচিব বলেন, প্রকল্প পরিচালকদের নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে কাজ করতে হবে। কৃষি মন্ত্রণালয় কোনো ধরনের অনৈতিকতাকে প্রশ্রয় দেয় না। দেশ ও জাতির সার্বিক কল্যাণে সবাইকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যেতে হবে। কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য ও প্রকল্পের কার্যক্রম উপস্থাপনা করেন প্রকল্প পরিচালক রাসেল আহমেদ। মশলা জাতীয় ফসলের ‘উন্নত জাত, প্রযুক্তি ও সম্ভাবনা’ বিষয়ের ওপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বগুড়ার মশলা গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শৈলেন্দ্র নাথ মজুমদার। কর্মশালায় বক্তারা বলেন, দেশে মশলার বাজার প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। দেশে বছরে ১৫ হাজার টন জিরার চাহিদা রয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রকল্পভুক্ত এলাকার মশলা উৎপাদন ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে এবং মশলা আমদানির হার হ্রাস পাবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটসহ কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।