৩ কোটি টাকার চেক জালিয়াতি মামলায় ওহাব মেরিন শিপিং লাইন্সের লঞ্চ মালিক মো. জামাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলার বাদী বরিশালের বাসিন্দা মেসার্স মানিক শিপিং লাইন্সের স্বত্বাধিকারী চাঁদনী লঞ্চের মালিক মো. মানিক হোসেন। তিনি জানান, নগদ টাকার প্রয়োজনে তার মালিকানাধীন লঞ্চ এমভি চাদনী-১ লঞ্চটি বিক্রির উদ্দেশ্যে জামাল হোসেনের সঙ্গে ৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা মূল্যে ১ কোটি টাকার চেক প্রদানসাপেক্ষে গত বছর ১৩ জানুয়ারি বায়না চুক্তি করেন। বাকি ৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা তিনি চেকে প্রদান করবেন বলে বায়না চুক্তিতে উল্লেখ করেন। বায়নার ১ কোটি টাকা মানিক হেসেন ব্যাংক থেকে উত্তলোন করেন। পরে গত ৩১ মে জামাল হোসেন পূবালী ব্যাংক, কেরানীগঞ্জ শাখায় তার প্রতিষ্ঠানের নামে পরিচালিত ৩ কোটি টাকার একটি চেক প্রদান করেন মামলার বাদী মো. মানিক হোসেনকে। ২৬ জুন ওই চেক থেকে টাকা উত্তলোনের জন্য সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার কমার্স ব্যাংক লি. বরিশাল শাখায় জমা দিলে তার অ্যাকাউন্টে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা না থাকায় চেক ফেরত দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও ১৬৮২/২০২২নং মামলায় আরো ৩ কোটি টাকার একটি মামলায় তার নামে ওয়ারেন্ট রয়েছে। বিষয়টি আসামি জামাল সোসেনকে জানালে সে দুই মাস পরে চেকখানা জমা দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন। তার কথা অনুসারে ৬ সেপ্টেম্বর অগ্রণী ব্যাংক লি. বরিশাল চকবাজার করপোরেট শাখায় জমা দিলে এবারও ব্যাংকে আসামির অ্যাকাউন্টে টাকা না থাকায় চেক ফেরত প্রদান করে। নির্দিষ্ট সময়ে টাকা না দেয়ায় বাধ্য হয়ে চেক দুইবার ডিজ অনার করায় ১৯ সেপ্টেম্বর জামাল হোসেনকে প্রথমে উকিল নোটিশ করা হয়। নোটিশের জবাব না দেয়ায় ও আসামি আমার পাওনা টাকা পরিশোধ না করে আমার সম্পদ (লঞ্চ) আত্মসাৎ করার কুমতলবের কারণে আসামির বিরুদ্ধে গত ২৭ অক্টোবর বরিশাল বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্টেট আমলি আদালতে এনআই অ্যাক্টে মামলা করেন।
