নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ডাকাতির নাটক সাজিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবা আব্দুল হালিমকে (৭২) হত্যার মাধ্যমে বোনদের ঠকিয়ে একাই বাবার সম্পত্তি গ্রাস করার হীন চক্রান্ত করেছিল নিহতের একমাত্র ছেলে এইচএম মাসুদ (৪২)। এই কিলিং মিশন বাস্তবায়নে ৫ লাখ টাকায় খুনি রুবেলকে ভাড়া করেছিল মাসুদ। বাবার পা চেপে ধরেছিল ছেলে মাসুদ। বালিশচাপায় শ্বাসরোধে হত্যা করে রুবেল।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানা এলাকা থেকে অটোরিকশার চালক খুনি রুবেলকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআইয়ের একটি টিম। হত্যার আলামত হিসেবে কিলিংয়ের জন্য দেয়া নগদ ৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকা ও সিসি ক্যামেরার ডিভিআর মেশিনটি উদ্ধার করা হয়েছে। ঘাতক রুবেল গত শনিবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
গতকাল রোববার পিবিআই নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১ ফেব্রুয়ারি ফতুল্লায় নিহত আব্দুল হালিমের মেয়ের জামাতা বাদী হয়ে মামলা করেন। আব্দুল হালিমের স্ত্রী মৃত্যুবরণ করায় তার একমাত্র ছেলে মাসুদ এবং তার ছেলের স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে ফতুল্লা থানার ধর্মগঞ্জ মাওলা বাজারে তার নিজ বাড়ির দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাটে বাস করে আসছিলেন। তিনি বয়ঃবৃদ্ধ হওয়ায় তেমন কোনো কাজকর্ম করতেন না। গত ১ ফেব্রুয়ারি রাত আড়াইটার দিকে নিহতের মেয়ে ও তার জামাতা লোক মারফত জানতে পারেন যে, তার শ্বশুরবাড়িতে বড় ধরনের ডাকাতি হয়েছে। তৎক্ষণাৎ তিনি বাড়ির ভাড়াটিয়াসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দেখতে পান, তার শ্বশুর শয়ন কক্ষের খাটের উপরে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। তখন ছেলে মাসুদ দাবি করে তিনজনের ডাকাতদল বত্রিশ লাখ টাকা লুটে নেয়। চলে যাওয়ার সময় আলমারির উপরে থাকা সিসি ক্যামেরার হার্ডডিক্স নিতে গেলে আ. হালিম বাধা প্রদান করায় আসামিরা তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।