ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কপ-২৮ সামনে রেখে জলবায়ু-সংক্রান্ত বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে আলোচনা

কপ-২৮ সামনে রেখে জলবায়ু-সংক্রান্ত বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে আলোচনা

জলবায়ুতে মানুষের সৃষ্টি ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় ১৫৪টি দেশ ১৯৯২ সালে জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনে (UNFCCC) স্বাক্ষর করে। তারপর থেকে, জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সম্মেলন (COP) প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয় যেখানে আলোচনা করা হয় যে ঠিক কীভাবে এটি কমিয়ে আনার উপায় অর্জন করা উচিত এবং কী অগ্রগতি হয়েছে তা পর্যবেক্ষণ করা।

বাংলাদেশ ও অন্যান্য জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে মিশরে অনুষ্ঠিত হওয়া ‘কপ-২৭’ এর সাফল্যগুলোর মধ্যে রয়েছে একটি ‘ক্ষতি ও লোকসান’ তহবিল সৃষ্টি করা, যা অভিযোজন বিষয়ক বৈশ্বিক লক্ষ্য অর্জনের অনুকূল একটি চুক্তি এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোয় জলবায়ু প্রযুক্তিনির্ভর বিভিন্ন সমাধান কাজে লাগানোয় উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ‘কপ- ২৭’ এ একটি নতুন পাঁচ বছর ব্যাপী কার্যক্রম-নির্ভর কর্মসূচি প্রণয়ন। অবশ্য ক্ষতি মোকাবিলার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি প্রদানের বিষয়টি আরো এক ধাপ পিছিয়ে যাওয়ায় ১.৫ ডিগ্রি লক্ষ্যমাত্রা ধরে রাখার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে পড়েছে।

জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইসের সভাপতিত্বে গত রোববার বাংলাদেশ সরকার এবং উন্নয়ন সহযোগীদের মাঝে জলবায়ু সংক্রান্ত অগ্রাধিকারভিত্তিক বিভিন্ন কার্যক্রম, জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সম্মেলন সংক্রান্ত ২৭তম জাতিসংঘ কাঠামোগত সম্মেলনের (কপ-২৭) পরবর্তীতে এবং ‘কপ-২৮’ এর জন্য অগ্রাধিকারভিত্তিক কার্যক্রমের বিষয়ে সরকারের চিন্তাভাবনা নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ।

এ প্রসঙ্গে ড. ফারহিনা আহমেদ উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ একটি অত্যন্ত জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ যার দ্রুত উন্নয়ন অত্যাবশ্যক এবং সেলক্ষ্যে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থায়ন ও প্রযুক্তির সরবরাহ প্রয়োজন। জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা, জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান এবং মুজিব জলবায়ু ও সমৃদ্ধি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সহায়তা প্রয়োজন। মিস গোয়েন লুইস আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার জন্য বিদ্যমান যে বরাদ্দ রয়েছে, বাংলাদেশের তা অপেক্ষা অনেক বেশি অর্থায়ন প্রয়োজন। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো ও ক্ষতি কমিয়ে আনার লক্ষ্যে বাংলাদেশ এরইমধ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। বাংলাদেশস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনের উন্নয়ন পরিচালক মি. ম্যাট ক্যানেল বলেন, ব্রিটিশ সরকারের জন্য জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করা একটি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয় এবং এই পরিবর্তনের প্রভাবের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর লক্ষ্যে আমরা বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা প্রদান করার পাশাপাশি ১.৫ ডিগ্রি সীমা ধরে রাখার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক কার্যক্রম সমুন্নত রাখছি। ২০২২ সালের নভেম্বরে মিশরের শারম্ এল-শেখ এলাকায় ‘কপ-২৭’ অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে ‘কপ-২৮’ আয়োজিত হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত