ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ময়মনসিংহে মাজারের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্ব

ময়মনসিংহে মাজারের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্ব

ময়মনসিংহে শাহ সুফি হজরত আয়েত আলী (র.) এর মাজারের টাকা ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে। আগামী ২৬ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি মাজারের ১০৪তম বার্ষিক ওরসকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে বিদ্যমান উত্তেজনায় সংঘাতের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

এ অবস্থায় শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে সব ধর্ম বর্ণের কাছে মাজারের সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে চান এলাকার বাসিন্দারা। গত ৮ ফেব্রুয়ারি রেঞ্জ ডিআইজি ও বিভাগীয় কমিশনারের কাছে লিখিতভাবে এলাকাবাসীর পক্ষে এই আবেদন জানান স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা হজরত আলী, সদর উপজেলা স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক মো. হাসান আলী ও অবসরপ্রাপ্ত বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা মো. নূরুল আমিন। আবেদনে তারা বলেন, ১০৪ বছর ধরে চলমান মাজারটি গত ৪০ বছর ধরে স্থানীয় একটি সন্ত্রাসী চক্র দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এর নেতৃত্বে রয়েছেন ভূমিদস্যু ও মানবতাবিরোধী মামলার আসামি রফিকুল ইসলাম, হত্যা মামলার আসামি আ. সালাম ও সরকারবিরোধী আন্দোলনে গাড়ি পোড়ানো মামলার আসামি আ. মজিদ। তারা মাজারের দানকৃত অর্থ ও মানতের টাকা নিজেরা ভাগ-বাঁটোয়ারা করে ভোগ তছরুফ করে আসছে। অধ্যাপক মো. হাসান আলী জানান, ২০১০ সালের নভেম্বর থেকে ২০১১ সালের জুন মাস পর্যন্ত মাজারটির দায়িত্বে ছিলেন স্থানীয় চেয়ারম্যান মানিক মিয়া। এই আট মাসে মাজারের আয় হয় প্রায় ১০ লাখ টাকা। কিন্তু এরপর থেকে মাজারের টাকার আর কোনো হিসাব নেই। এ অবস্থায় আগামী ওরসের আগেই মাজারটি সরকারিভাবে প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে নেয়া অতি জরুরি। তবে, মাজারের বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম দাবি করেন, মাজারের আয়ের টাকা গঠনতন্ত্র মেনে ব্যয় হচ্ছে। কিন্তু একটি মহল এ নিয়ে অপপ্রচার করছে। এছাড়া, মাজারের পুকুরটি নিয়ে বর্তমানে সরকারের সঙ্গে সুপ্রিমকোর্টে মামলা চলমান আছে বলে দাবি করে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষ হয়ে গেছে। এ বিষয়ে জানতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত