ঢাকা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

১৫ দিনব্যাপী তৃতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব উদ্বোধন

১৫ দিনব্যাপী তৃতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব উদ্বোধন

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে গত শুক্রবার উদ্বোধন হলো তৃতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব-২০২৩। ৩ মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত সারা দেশে একযোগে ৬৪ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে প্রদর্শিত হবে বিভিন্ন ক্যাটাগরির বাংলা চলচ্চিত্র। গত শুক্রবার বিকাল ৫টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে তৃতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৩-এর উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও শিক্ষক হায়দার রিজভী, চলচ্চিত্র অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন, চলচ্চিত্র নির্মাতা শামীম আখতার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন একাডেমির সম্মানিত সচিব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের বরেণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা, প্রযোজক, শিল্পী কলাকুশলী এবং সংগঠক, জুরি সদস্য, সিলেকশন কমিটির সদস্য, একাডেমির কর্মকর্তারা। বর্তমানে সিনেমা হলগুলো কমে যাওয়ায় তার সংখ্যা বাড়াতে কাযকর উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান আলোচকরা। ‘সবার জন্য চলচ্চিত্র, সবার জন্য শিল্প সংস্কৃতি’ স্লোগানে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে একযোগে ৬৪ জেলা শিল্পকলা একাডেমিসহ সারা দেশে ১৫ দিনব্যাপী ‘তৃতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব-২০২৩’ অনুষ্ঠিত হবে। পাঁচটি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে- সমকালীন চলচ্চিত্র, নারী নির্মাতাদের চলচ্চিত্র, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র, ধ্রুপদী চলচ্চিত্র এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বা পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের মধ্য থেকে সিলেকশন কমিটি কর্তৃক বাছাইকৃত মোট ৩৬টি চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হচ্ছে এবারের চলচ্চিত্র উৎসবে, এর মধ্যে ২৩টি সমকালীন চলচ্চিত্র (২০১৮-২০২২ সাল) এবং ১৩টি অন্যান্য ক্যাটাগরির চলচ্চিত্র। সমকালীন দেশীয় চলচ্চিত্র বিভাগে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জমা নেয়া হয়, জমাকৃত প্রায় অর্ধশতাধিক চলচ্চিত্র থেকে বাছাই করে ২৩টি চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শনীর জন্য মনোনীত করা হয়। সেখান থেকে সাতটি ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র (দুই লাখ টাকা), শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা (এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা), বিশেষ জুরি (এক লাখ টাকা) এবং শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক, শ্রেষ্ঠ সম্পাদক, শ্রেষ্ঠ শব্দ পরিকল্পক এবং শ্রেষ্ঠ প্রযোজনা পরিকল্পককে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে পুরস্কার প্রদান করা হবে।

এছাড়া উৎসব স্মারক, সনদপত্র প্রদান করা হবে। পুরস্কার প্রদানের লক্ষ্যে ৭ সদস্যবিশিষ্ট জুরি বোর্ড গঠন করা হয়। উৎসবের চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা ও জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তন এবং দেশব্যাপী ৬৪ জেলার শিল্পকলা একাডেমিতে। চলচ্চিত্র প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত